ফিচার

বিশ্বের সবচেয়ে খাটো নারী

দেশভেদে মানুষের গড় উচ্চতার পরিমাপ একেক রকম হয়ে থাকে। বাঙালিদের ক্ষেত্রে এক রকম তো কোরিয়া, জাপান কিংবা আফ্রিকার মানুষের অন্য রকম। এই রকমফেরের অনেক কারণ রয়েছে। জিনগত, খ্যাদ্যাভ্যাস, আবহাওয়া, জলবায়ু এর প্রধান কারণ। তবে বিশ্বে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের উচ্চতা এসব গড় উচ্চতার অনেক বেশি এবং অনেক কম।

Advertisement

এই ভিন্নতার কারণে তারা জায়গা করে নেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে খাটো নারীর রেকর্ডসটি ওয়াইল্ডাইন অমোইথের। ১৮ বছর বয়সী ওয়াইল্ডাইনের উচ্চতা মাত্র ২৮.৩ ইঞ্চি ব ৭২ সেন্টিমিটার। গত ১৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা ওয়াইল্ডাইন অমোইথের নাম ঘোষণা করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।

রেকর্ডসের দিন তিনবার ওয়াইল্ডাইনের উচ্চতা মাপা হয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়াটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিচারক মাইকেল এমপ্রিকের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়। এরপর তিনি ওয়াইল্ডাইনের হাতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সার্টিফিকেটটি তুলে দেন।

১৮ বছর বয়সী ওয়াইল্ডাইনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ফ্লোরিডার উত্তর মিয়ামি বিচের কাছেই। প্রথম হাইতিয়ান-আমেরিকান হিসেবে সবচেয়ে খাটো নারী বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী হয়ে গর্বিত তিনি। জন্মগত জিনের সমস্যার কারণে তার উচ্চতা বাড়েনি। এটি একটি বিরল রোগ। যা সাদান ডিসপ্লাসিয়ার নামে পরিচিত। এর কারণে শরীরের উচ্চতা বাড়তে পারে না।

Advertisement

ওয়াইল্ডাইনের আরও তিন ভাইবোন, দুই ভাই এবং এক বোন রয়েছে। তার আরেকজন বড় ভাই ছিল। যে স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগে মারা গেছে ছোটবেলায়। ওয়াইল্ডাইন নিজে থেকে কোনো ধরনের নড়াচড়া করতে পারে না। হুইল চেয়ারের উপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল ওয়াইল্ডাইন।

তবে এতো সব শারীরিক সমস্যা তার জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। লেখাপড়ায় বরাবর খুবই ভালো ছিলেন ওয়াইল্ডাইন। ৩.৯৫ সিজিপিএ নিয়ে তিনি হাইস্কুল পাশ করেন। এরপর ফার্মাসিতে অধ্যয়ন করছেন তিনি। এ ছাড়াও ওয়াইল্ডাইন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাইফ অফ ওয়াইল্ডাইন নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন। যেখানে তিনি কীভাবে একজন ছোট মানুষ হিসেবে তার জীবনযাপন করেন তা অন্যদের জানান। তিনি বামনতা এবং অক্ষমতার বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চান তার এই চ্যানেলের মাধ্যমে।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

কেএসকে/এমএস

Advertisement