ফিচার

৪০০০ বছরের রহস্যময় পাথর

বিশালাকার এক পাথর। এর বয়স ৪০০০ হাজার বছর। যুগ যুগ ধরে মরুভূমির মাঝে পড়ে আছে পাথরটি। সৌদি আরবের তাইমা মরুদ্যানে গেলে এই পাথরটির দেখা মিলবে।

Advertisement

অবাক করা বিষয় হলো, বিশালাকার পাথরটি মাঝখান থেকে সমান করে কাটা। দেখে মনে হবে, একটি শক্তিশালী লেজার রশ্মি দিয়ে পাথরটি মাঝ বরাবর কাটা হয়েছে। তবে ৪০০০ বছর আগে তো আর উন্নত প্রযুক্তি ছিল না।

তখন তো লেজার রশ্মিও ব্যবহার হতো না। তাহলে এতোটা নিখুঁতভাবে রহস্যময় পাথরটি কাটল কে? এই পাথর খণ্ডের নাম হলো আল নাসলা। বিশ্ব বিখ্যাত এই পাথর দু’টি বড় বেলেপাথরের সমন্বয়ে গঠিত।

যদিও দূর থেকে দেখলে পাথরের মাঝখানের ফাঁকাটি দেখা যায় না। তবে কাছ থেকে পাথর খণ্ডটি দেখলেই রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন আপনি। এখনও পর্যন্ত পাথরটি কাটার বিষয়ে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

Advertisement

তবে অনেকেই বলছেন, আল নাসলা পাথর প্রমাণ করে প্রাচীন সভ্যতা অনেক বেশি উন্নত ছিল। তাইমা মরুদ্যানের অনেকগুলো পাথরের মধ্যে আল নাসলা একটি। এর স্থায়ী শিলা গঠন গবেষকদের অবাক করে দেয়।

পাথরটি আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে অনেকবার গবেষণা হয়েছে। ঐতিহাসিকদের মধ্যে পাথরটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলেও এটি কোন স্থান থেকে এসেছে বা কীভাবে কাটা হয়েছে তার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেননি।

কাছ থেকে পাথরটি দেখলে মনে হবে, কোনো শক্তিশালী মানুষ পাথরটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটেছেন। তবে তা প্রমাণ করা বেশ কঠিন! বিজ্ঞানীরা এমন কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।

বেশিরভাগ ভূতাত্ত্বিকরা বিশ্বাস করেন, এই মসৃণ বিভক্তি হওয়ার পেছনে থাকতে পারে প্রাকৃতিক কারণ। এটি হয়তো টেকটোনিক আন্দোলনে ঘটেছে। যা একটি শিলাকে দু’ভাগে ফাটানোর জন্য যথেষ্ট।

Advertisement

বিজ্ঞানীরা এমনটি বিশ্বাস করলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু এসব ব্যাখ্যা মানেন না। তাদের মতে, আল নাসলা একটি উন্নত প্রাচীন সভ্যতার ইঙ্গিত দেয়।

অথবা এলিয়েনরা হয়তো পাথরটি দু’খণ্ড করেছে। যদিও এ দু’টি তত্ত্বই অসম্ভব বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা। তাহলে এই পাথরটি কাটলো কে? এই প্রশ্নের উত্তর আজও রহস্যে ঘেরা!

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

জেএমএস/এমএস