কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইতোমধ্যে হাওরের শতভাগ ও সারাদেশের শতকরা ৬৪ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই অবশিষ্ট ধান কাটা সম্পন্ন হবে। সারাদেশে এ বছর ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১১ মে) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বোরো ধানের উৎপাদন পরিস্থিতি ও কৃষির সমসাময়িক বিষয়’ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
হাওরের শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারা অত্যন্ত আনন্দের ও স্বস্তির উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাওরভুক্ত ৭টি জেলায় এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৪ হেক্টর জমিতে; যা দেশের মোট আবাদের প্রায় ২০ শতাংশ। আর শুধু হাওরে আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে।
ধানকাটা মেশিন দ্রুত মাঠে দেয়া এবং সরকারি তত্ত্বাবধানে শ্রমিকের সময়মত যাতায়াত সুগম করার ফলেই এ বছর দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর একই তারিখে সারাদেশের মাত্র ৩৩ ভাগ ধান কাটা সম্ভব হয়েছিল। ধানকাটার মেশিন ও শ্রমিকের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে।
Advertisement
তিনি জানান, এ বছর শুধু হাওরভুক্ত ৭ জেলাতেই বহিরাগত ৪৯ হাজার ১০৮ জন শ্রমিক আনা হয়েছে। এছাড়া এ বছর ধান কাটতে ২ হাজার ৬২০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ৭৮৯টি রিপার মাঠে চলমান আছে। ‘প্রতিবছর কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের ক্ষেত্রে এটি নতুন মাত্রাযোগ করেছে। এতে একদিকে শ্রমিক সঙ্কট থাকলেও দ্রুত ধানকাটা যাচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ কমার ফলে কৃষক লাভবান হচ্ছে’ বলেও উল্লেখ করেন ড. রাজ্জাক।
তিনি আরও বলেন, ‘অঞ্চলভেদে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে ধান কাটাসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদেরকে দেয়া হচ্ছে। এটি সারা বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা।’
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/এএএইচ/এমএস
Advertisement