ফিচার

অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক বাংলাদেশের রুনা

ফাত্তাহ তানভীর রানা

Advertisement

ডা. নাদিরা পারভীন রুনা বাংলাদেশের মেয়ে। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে সরকারি চিকিৎসক (জেনারেল প্রাকটিশনার-জিপি) হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল কাউন্সিল (এএমসি) এক্সামের দুই পর্ব কৃতিত্বের সাথে শেষ করেন। এ ছাড়াও ফেলো অব রয়েল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব জেনারেল প্রাক্টিশনার্স’র তিন পর্ব কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলের মা। তার স্বামী ডা. রাশেদুল হাসানও বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। রুনা ১৯৭৪ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।

বাবার চাকরিসূত্রে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলায় বেড়ে ওঠেন। ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী। তিনি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। এ ছাড়া জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা ইত্যাদিতে পুরস্কার লাভ করেন।

Advertisement

তিনি ১৯৯০ সালে গুরুদাসপুর রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪৭ নম্বর নিয়ে এসএসসি পাস করেন। সে বছর জুন মাসে ফলাফল হওয়ার তিন দিন আগে তার বাবা মারা যান। এরপর ১৯৯২ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।

তারপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ডাক্তার হওয়ার পর তিনি ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় (স্বাস্থ্য ক্যাডার) উত্তীর্ণ হন। পোস্টিং হয় চুয়াডাঙ্গায়। এফসিপিএস পার্ট-১ সম্পন্ন হলে স্বামীর হাত ধরে চলে আসেন ঢাকায়।

তারপর ২০০৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য স্বামীর সঙ্গে বিদেশে (অস্ট্রেলিয়ায়) পাড়ি জমান। সেখানে তিনি সরকারি চিকিৎসক হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।

ঢাকাস্থ সিংড়া উপজেলা কল্যাণ সমিতি ২০১৮ সালে রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি মিলনায়তনে ‘সিংড়া উৎসবে’ ছয় জন সফল নারীকে সম্মাননা দেয়। ওই উৎসবে ডা. নাদিরা পারভীন রুনাকেও সফল নারী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়।

Advertisement

তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। রুনা অস্ট্রেলিয়ায় থাকার কারণে তার ক্রেস্ট গ্রহণ করেন চাচা মো. আব্দুল মতিন। রুনার মা নার্গিস সুলতানা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর পরিচালিত জয়িতা অন্বেষণ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৭ সালে রাজশাহী বিভাগের সফল জননী ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন।

লেখক: রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিতে কর্মরত।

এসইউ/জিকেএস