ধর্ম

কারও নির্দেশে ফরজ বিধান অমান্য করা যাবে কি?

পরিবার সমাজ কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এমন অনেক ঘটনা ঘটতে দেখা যায় যে, দ্বীনের ফরজ বিধান পালনে বাধা দেয়া হয়। হতে পারে তা নারীদের পর্দা ও ধর্ম-কর্মসহ ফরজ বিধান পালনে বাধা। তাহলে ফরজ বিধান থেকে বিরত থাকতে কারও আনুগত্য করা যাবে কি? এসব নির্দেশ পালনে ইসলামের হুকুম কি?

Advertisement

আল্লাহ তাআলার যেসব নির্দেশ পালন করা ফরজ, তা পালনে বাধা দিলে ইসলামের বিধান হলো- ফরজ লঙ্ঘনে ওই ব্যক্তির আনুগত্য করা যাবে না। তিনি হতে পারেন কারও স্বামী, বাবা-মা কিংবা দায়িত্বশীল কেউ। কেননা হাদিসে পাকে এসেছে-لَا طَاعَةَ لِمَخَلُوْقٍ فِىْ مَعْصِيَةِ اللهِ عَزَّ وَ جَلَّ'আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করে কারও আনুগত্য চলে না।' (মুসনাদে আহমদ)

সাবধান থাকতে হবেপর্দা কিংবা ইসলামের ফরজ বিধান পালন করতে দেয় না বলে স্বামী, মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই ঝগড়া-বিবাদ বা প্রতিবাদে লিপ্ত হওয়া যাবে না। বরং তাদেরকে ধৈর্যের সঙ্গে বুঝাতে হবে। তাদের সঙ্গে একান্ত হয়ে মিশতে হবে। তার অধিকারের প্রতি যথাযথভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। তার আরাম আয়েশের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

তাদের এ কথা বুঝাতে হবে যে, আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা যায় না। সঠিক পথের উপর আমল করার পাশাপাশি দায়িত্বশীল স্বামী বা মা-বাবাকে ফরজ বিধানগুলো আবশ্যকতা ও গুরুত্ব বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে।

Advertisement

বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামীর বেশি বেশি খেদমত করতে হবে। তাদের যথাযথ আরম-আয়েশের ব্যবস্থা করতে হবে। নিজের আচরণ দিয়ে তাদের মন জয় করতে হবে। এ সবও ইসলামের অন্যতম বিধান।

ইসলামের ফরজ বিধানগুলোর ব্যাপারে তাদের বোঝাতে হবে। তাদের জন্য দোয়া করতে হবে। আল্লাহর দেয়া ফরজগুলো পালনে নিজের জন্যও দোয়া করতে হবে।

পরিবারে দ্বীনি পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সাবধানতার সঙ্গে পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। অধৈর্য হয়ে কারো সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ না করে ধীরে ধীরে পরিবারের সামনে নিজের কাজ ও আচরণ দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্যগুলো তুলে ধরতে হবে।

তবেই এক সময় ইসলামের ফরজ বিধান পালনের বিরোধিতা থাকবে না। ধীরস্থির চেষ্টা সাধনায় আল্লাহ তাআলা বরকত ও সফলতা দান করবেন।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে ইসলামের ফরজ বিধান পালনে যথাযথ ধৈর্য ও হেকমতের সঙ্গে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস