ভ্রমণ

করোনা পরবর্তী বিমান ভ্রমণে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

করোনাভাইরাসে কাঁপছে বিশ্ব। তবুও দীর্ঘ লকডাউন শেষে একটু নড়েচড়ে বসেছে দেশগুলো। শুরু হয়েছে বিমান চলাচল। বিমানবন্দরগুলো খোলা হয়েছে যথাযথ সতর্কতার সাথে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিমান ভ্রমণ করা যাবে এ সময়ে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিমানে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কম। তবে বিমানে সংক্রমণের ঝুঁকি কেবল সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এবং তার সংস্পর্শে আসা কোনো বস্তু। তাই করোনা পরবর্তী বিমান ভ্রমণে কিছু বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে-

Advertisement

তালিকা তৈরি করুন: কিছু জিনিস অবশ্যই ভ্রমণের সময় আপনার সাথে বহন করা উচিত। সে তালিকায় একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক ওয়াইপস, টিস্যু এবং মাস্ক রাখতে হবে। এ জিনিসগুলো আপনাকে ভাইরাস রোধ করতে সাহায্য করবে।

স্পর্শের আগে সতর্কতা: বিমানে ওঠার আগে এটিএম, চেক-ইন মেশিন, এসকেলেটর বা লিফট এবং অন্য যেকোনো ডিভাইস ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা উচিত। অন্যরা যেগুলো স্পর্শ করেছে; সেগুলো ব্যবহার করার সময় গ্লাভস পরে নিন। একইভাবে ফোন এবং ওয়ালেটের মতো নিজের জিনিসগুলো সম্পর্কে সচেতন হোন। সুরক্ষা চেক চলাকালীন এগুলো ব্যাগের মধ্যে না রেখে একটি ব্যাগে রাখুন। ফোনটি অন্তত দিনে দিনে দু’বার জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে ফেলা উচিত।

দূরত্ব বজায় রাখুন: সবখানেই প্রযুক্তি এবং অটোমেশনের উপর নির্ভর করার চেষ্টা করুন। মেশিন থেকে বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর হাত স্যানিটাইজ করুন। বিমানবন্দরের ভেতরে কেনাকাটার ক্ষেত্রে কোনো কিছু স্পর্শ না করার চেষ্টা করুন। কর্মীদের কাছ থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। স্পর্শহীন বিকল্প ব্যবহার করে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করুন।

Advertisement

জানালা খুঁজে নিন: কোনো বিমানে আসন বেছে নেওয়ার সময় উইন্ডোটি বেছে নিন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিমানের জীবাণু এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হলো উইন্ডো সিটে বসা। সংক্রমিত যাত্রীরা তাদের পাশের দুটি সিটের চেয়ে সামনে বা পেছনে দূরে বসে থাকা যাত্রীকে সংক্রমিত করবে না। এছাড়া হাত পরিষ্কার রেখে চোখ, নাক এবং মুখের সংস্পর্শ এড়ানোর মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি দূর করা যায়।

চারপাশ মুছুন: আসন নেওয়ার সময় আপনার চারপাশের শক্ত জিনিসগুলোর উপর দ্রুত জীবাণুনাশক স্প্রে করুন। কারণ আপনার সিটের পেছনের সিট ফ্ল্যাপ, ট্রে টেবিল, আর্ম রিস্টসগুলোয় সংক্রামক শ্বাস-প্রশ্বাসের ফোঁটা জীবিত থাকতে পারে। এছাড়াও মনে রাখবেন, করোনাভাইরাস আপনাকে এ জাতীয় বস্তু থেকে সরাসরি সংক্রমিত করবে না। যখন আপনি কোনো সংক্রমিত বস্তু স্পর্শ করেন এবং তারপর আপনার মুখ স্পর্শ করেন, তখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

বিমানের পানি নয়: বিমানের ট্যাঙ্কগুলো থেকে আনা পানি সব সময় পরিষ্কার না-ও হতে পারে। তাই বিমানের দেওয়া পানি পান না করাই ভালো। তার চেয়ে বরং চা বা কফি পান করুন। যা সাধারণত ওই পানি থেকে তৈরি নয়।

অসুস্থ হলে বাড়ি থাকুন: এ মুহূর্তে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো অসুস্থ হলে বাড়িতেই থাকুন। জ্বর পুরোপুরি ভালো না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। কেননা ভাইরাসটি সম্পর্কে সবারই সতর্ক থাকা উচিত।

Advertisement

আউটলুকইন্ডিয়া/এসইউ/এএ/জেআইএম