ফিচার

করোনায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ৫ উপায়

কোভিড-১৯ পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ মানুষকে ঘরবন্দি করে রেখেছে অনেক দিন ধরে। করোনাকালীন এ সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে। বেশিরভাগ মানুষ প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর নির্ভর করছেন এ সময়ে। তাছাড়া খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় নিজেদের পছন্দমতো খাবারও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই আমরা আমাদের খাবারকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে নির্বাচন করতে পারি।

Advertisement

তাহলে জেনে নেই কী কী উপায়ে আমরা স্বাস্থ্যকর খাদ্য নির্বাচন করতে পারি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন—

১. খাবারে প্রচুর ফল-মূল, শাক-সবজি রাখুন: লকডাউনের এ পরিস্থিতিতে তাজা ফল-মূল ও শাক-সবজি পাওয়া বেশ কষ্টকর। তাই সুযোগমত পর্যাপ্ত ফল-মূল ও শাক-সবজি কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। যাতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি ও ফল-মূল খুব সহজেই রাখতে পারেন। প্রায় সব শাক-সবজি ও ফল-মূলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি।

২. স্বাস্থ্যকর শুষ্ক বা ক্যানজাত খাবার নির্বাচন: ফ্রেশ খাবার সব সময় উত্তম। কিন্তু এটি পাওয়া না গেলে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্যান বা টিনজাত শাক-সবজি, ফল-মূল ও মাছ পাওয়া যায়। সেগুলো খাবার মেন্যুতে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। যেমন- ক্যানজাত মাছ থেকে আপনি অনায়াসেই ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।

Advertisement

৩. পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর নাস্তা সংরক্ষণ করুন: মিষ্টি অথবা লবণাক্ত নাস্তার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন খাবার যেমন- বাদাম, দই, শুষ্ক ফল-মূল, সেদ্ধ ডিম এবং বাড়িতে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল-মূল নাস্তার মেন্যুতে রাখুন। যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৪. অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন: রেডি টু ইট খাবার, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন। কারণ এগুলোতে রয়েছে অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা গ্রহণ করা দেহের অনেকগুলো রোগের কারণ। খাবারগুলোর পরিবর্তে লেবুর শরবত, শসা বা ডাব খেতে পারেন।

৫. রান্না ও খাওয়াকে আনন্দদায়ক করুন: পরিবারের সবাই মিলে রান্না ও খাওয়া প্রত্যেকটি সদস্যের আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করে। রান্না ও খাওয়া তখন আর গৎবাধা কোনো কাজ থাকে না। এটি হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক।

আসুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, সুস্থ থাকি। কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করি নিজেরাই।

Advertisement

লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

এসইউ/এমকেএইচ