লাইফস্টাইল

আপনার অজান্তেই টাকা জমছে যেভাবে

করোনাভাইরাস আতঙ্কে যার যার ঘরেই বন্দি আমরা সবাই। ভীষণ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না বাইরে। এই হঠাৎ পাওয়া অবসরে মন খুশি নয় একদমই। কারণ হলো অনেকরকম দুশ্চিন্তা। করোনা নাহয় বিদায় নিলো, কিন্তু তারপর? নানারকম দুশ্চিন্তা এসে ভর করছে অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে।

Advertisement

এমন অবস্থায় মন ভালো রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কী তার উপায়? উপায় হলো, সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। চরম দুঃসময়েও মন ভালো করার মতো কিছু খুঁজে বের করতে হবে। এখন আপাতত এটা ভাবুন যে এই সময়ে আপনার অজান্তেই জমছে টাকা। কীভাবে? জেনে নিন-

প্রতিদিন অফিস যাওয়া-আসা বাবদ খরচ হতো আপনার। এখন যেহেতু বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না, সে টাকাটা এখন পুরোটাই সেভিংস। আপনি হয়তো বাসে করে অফিসে যান। কোনো কোনো দিন প্রয়োজন হয় রিকশা কিংবা উবারের। তাতে আবার খরচ বেশি। আবার কেউ বা নিজের গাড়িতে অফিস যেতেন। এই পুরো খরচটাই একন বেঁচে যাচ্ছে।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিয়ে প্রতি মাসেই প্রত্যেকেই কিছু না কিছু শখের জিনিস কেনেন। অ্যাক্সেসরিজ, জুতো, মেকআপের সামগ্রী, পোশাক, বাড়ি সাজানোর জিনিস- এমন হরেক জিনিসের কিছু না কিছু প্রত্যেকেই কেনেন। কিন্তু এখন সে সব বন্ধ। ফলে এই খরচটাও আপনার সেভিংসের খাতায়।

Advertisement

এই মুহূর্তে আপনার যতটুকু রসদ রয়েছে, তা দিয়ে চালাতে হবে। ফলে বাড়িতে ভালো-মন্দ রান্না নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তাই মাঝেমধ্যেই নানা রকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটা আপাতত মুলতুবি রাখতে হচ্ছে। ফলে বাজার খরচ কম। টাকাটা কিন্তু থেকে যাচ্ছে।

আগে প্রতি মাসে অন্তত তিন-চারদিন তো বাইরের খাবার খেতেন। কখনোবা অফিসে লাঞ্চ আনিয়ে নেন বাইরে থেকে। সেসব বাবদ ফুড বিল কিন্তু বেড়েই চলে। এই সময়টা এসব বন্ধ। সবটাই জমছে।

যে জিনিসটি প্রয়োজন নেই, অথচ দেখতে ভালো লাগছে, এমন কিছু কিনে ফেলার প্রবণতা কিন্তু অনেকেরই থাকে। অফিস ফেরত ফুটপাতে দেখলেন রঙিন বোতল, প্রয়োজন না থাকলেও কিনে ফেললেন। আবার একদিন দেখলেন সুন্দর মোমদানি, এটাও কিনে ফেললেন হঠাৎই। এই সব এখন বন্ধ। এর ফলে একটু একটু করে টাকা জমছে।

এইচএন/পিআর

Advertisement