লাইফস্টাইল

রোজায় জীবনযাপনে যেসব পরিবর্তন আনবেন

রমজান হলো সংযমের মাস। এ মাসে শুধু খাবারের ক্ষেত্রেই নয়, বরং জীবনযাপনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও থাকতে হবে সংযত। কিন্তু এই রোজার মাসে অনেকেই খাবারের ক্ষেত্রে অনিয়ম করেন। যার প্রভাব পড়ে জীবনযাপনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও।

Advertisement

রোজায় জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা জরুরি। এই সময় দিন দীর্ঘ ও গরমের কারণে আমাদের শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। পানিশূন্যতা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ। তাই ইফতার ও সাহরির মাঝে পর্যাপ্ত পানি পান করা দরকার। তবে কোনোভাবেই পানির বদলে কোমল পানীয় খাওয়া চলবে না।

কোমল পানীয় আপনার শরীরের উপকারের চেয়ে অপকারই করবে বেশি। ইফতারে লেবু বা দইয়ের শরবত তৃপ্তি দেবে, শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করবে। বাজার থেকে কেনা চিনিসমৃদ্ধ ফলের রসের চেয়ে ঘরে তৈরি ফলের রস অনেক ভালো।

চা ও কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন, যা সাধারণত ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে। ডাইইউরেটিকের কাজ হলো শরীর থেকে পানি বের করে দেওয়া। সুতরাং ইফতার ও সেহরির মাঝে বেশি চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকুন।

Advertisement

রোজার মাসে মানুষ ইফতার ও সাহরিতে ভাজা-পোড়া, তৈলাক্ত খাবার বেশি পছন্দ করে। এসব খাবার খেতে সুস্বাদু হলেও স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে বেশি করে ফলমূল, চিড়া, নারিকেল, দুধ, ঘরে তৈরি ছানা খাওয়া উচিত। রাতের খাবার বা সেহরিতে শাকসবজি ও অন্যান্য আঁশসমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখবেন।

খাবার হতে হবে সুষম ও পুষ্টিসমৃদ্ধ। রাস্তায় ইফতারি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। রাস্তায় ইফতারি তৈরি হয় মূলত আটা, ময়দা, বেসন, মাছ, মাংস, ডিম, শাকসবজি ও তেল দিয়ে। দিনের পর দিন একই তেল ব্যবহার করা হয় বলে তা পুড়ে গিয়ে ট্রান্সফ্যাটে রুপান্তরিত হয় এবং এই ট্রান্সফ্যাট স্ট্রোক ও হৃদরোগ সৃষ্টি করে।

জাঙ্কফুড হলো স্বল্প পুষ্টিসম্পন্ন অস্বাস্থ্যকর খাবার। অন্যান্য দরকারি খাবারের মতো এসব খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং আঁশ জাতীয় খাবারের পরিমাণ কম থাকে। তাই রোজার মাসে জাঙ্কফুড যত কম খাওয়া যায় তত ভালো।

রোজায় অনেকে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। এখন তো অফিসে যেতে হয় না বলে অনেকে আরও অলস সময় কাটান। এটি একদমই ঠিক নয়। সকালে ওঠার ভালো অভ্যাসটি ধরে রাখুন। দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া এবং দ্রুত ঘুম হতে ওঠার অভ্যাস আপনাকে সুস্থ রাখবে।

Advertisement

অলসতা করে গোসল বাদ দেবেন না। নিয়মিত প্রতিদিন গোসল করলে তা আপনাকে সুস্থ ও ঝরঝরে রাখবে। এর পাশাপাশি দিনভর সতেজ অনুভব করবেন।

নিয়মিত কাপড় পরিষ্কার করুন। পরিচ্ছন্ন কাপড় পরলে তা আপনাকে প্রশান্তি দেবে। পাশাপাশি ইবাদতে আরও বেশি মনোযোগী করবে। অলসতা করে কাপড় জমিয়ে রাখবেন না।

পরিষ্কার রাখুন ঘর-বাড়িও। ধুলোবালি যাতে না জমতে পারে, সেই খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন জীবাণুনাশক দিয়ে বাড়ির মেঝে পরিষ্কার করা আবশ্যক।

রমজানে তাই ঘরে তৈরি খাবার খান। সেইসঙ্গে স্বাদের পাশাপাশি নিশ্চিত করুন সুস্বাস্থ্যও। ঘুম, খাওয়া ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত থাকুক। পাশাপাশি মেনে চলুন অন্যসব স্বাস্থ্যবিধিও।

এইচএন/পিআর