বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন সনদই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আর নিবন্ধনের মেধা তালিকা ধরেই দেয়া হবে শিক্ষক নিয়োগ। পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালার সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিষয়টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, নিবন্ধন সনদের মেয়াদ মাত্র তিন বছর রেখে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালার সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, অক্টোবর মাসেই নতুন এই নীতিমালা ঘোষণা ও কার্যকর হচ্ছে। নতুন নীতিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেমন পরিবর্তন আসছে, তেমনি আসছে নিবন্ধন পরীক্ষায়ও। শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালার সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করবেন। শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, নতুন করে নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণের পর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ পেয়েছেন তারা যেহেতু মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না তাই আগামী তিন বছর কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে পুরনো সনদধারীদেরও নিয়োগ দিতে পারবে।তিনি আরো জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি কমিয়ে আনার জন্য যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তা কার্যকর হতে যাচ্ছে। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে দেশের ২৮ হাজার এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ হবে।নতুন নীতিমালা অনুসারে, এখন থেকে একজন প্রার্থীকে তিনটি পরীক্ষা তথা এমসিকিউ ভিত্তিক প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী তালিকা তৈরি হবে। তবে একজন প্রার্থী লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে কমপক্ষে ৪০ নম্বর না পেলে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাবেন না। এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement