বিনোদন

রাজকীয় সিংহাসন দখল নিয়ে যাত্রাপালা ‘তাজমহল’

তাজমহলের কথা শুনলেই মনে দোলা দিয়ে যায় দুনিয়া কাঁপানো এক প্রেমের কাহিনি। সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসাকে ইতিহাস করে রাখতে স্থাপন করেছিলেন বিখ্যাত সেই সমাধি। আজও প্রেমের শিরোমণি হয়ে আছেন সেই জুটি, তাদের সেই তাজমহল।

Advertisement

বিভিন্ন সময় এই তাজমহল নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক নাটক, সিনেমা ও গান। মঞ্চেও দেখা গেছে অনেক নাটক ও যাত্রাপালা।

সেই তালিকায় যোগ হলো আরও একটি যাত্রাপালা ‘তাজমহল’। মঙ্গল যাত্রা থিয়েটার ও ডাকসুর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ‘মঙ্গল যাত্রা থিয়েটার’। এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) টিএসসি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে প্রযোজনাটি। নাটকের আগে কেক কেটে সংগঠনটির শুভ উদ্বোধন করা হয়।

সঞ্চালনায় ছিলেন ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার।

Advertisement

সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যকলা বিভাগে চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস ই নোমান, সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

যাত্রাপালা ‘তাজমহল’ সাবলীল অভিনয়, মঞ্চ সজ্জায় দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে। চিরচেনা গল্পকে নতুন করে হাজির করেছেন ‘তাজমহল’র কলাকুশলীরা, যা বেশ প্রশংসিত হয়েছে। শাহজাহান ও মমতাজের প্রেমোপাখ্যানের পাশাপাশি এ যাত্রাপালায় উঠে এসেছে সিংহাসন দখলের রাজকীয় নোংরামি ও ষড়যন্ত্র।

নাটকের উদ্যোক্তারা জানান, ভৈরব নাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের রচনায় এ যাত্রাপালায় মূলত তাজমহল নির্মাণ এবং আওরঙ্গজেবের সিংহাসন দখলের ষড়যন্ত্রকে তুলে ধরা হয়েছে।

মঙ্গল যাত্রা থিয়েটারের পক্ষ থেকে কমল কুমার দাস বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে সংগঠনটি তৈরি করেছি। এর ভিত্তি হলো বাংলার প্রাচীন, বহুল প্রচলিত গল্প ও কাহিনিগুলো নিয়ে সামাজিক যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করা।

Advertisement

একসময় বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রযোজনার অনেক বড় একটি আকর্ষণ ছিল এই যাত্রাপালা। ক্রমে আধুনিক সংস্কৃতির আড়ালে, মঞ্চনাটক ও থিয়েটারের বিলিতি সাজসজ্জায় যাত্রাপালা বৃহত্তর জনগণের কাছে কেবল লোকসংস্কৃতি হিসেবে রয়ে গেছে। আমাদের যাত্রাপালা আয়োজনের এই ছোট্ট প্রয়াসের মূল উদ্দেশ্য মানুষের কাছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালার একটি রূপ তুলে ধরা।

আমরা কিছুকাল ধরেই এর সাথে সংযুক্ত আছি। এই ঐতিহ্য আমরা এখন আরো মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই।’

এলএ/এমকেএইচ