ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত এ চেকপোস্ট দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি যাত্রী ভারত গমন করেছেন।
Advertisement
যাত্রীদের এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থল শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে। আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেপোস্টেও একই চিত্র। সেখানেও যাত্রীদের দীর্ঘসময় লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে গিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। যাত্রী সংখ্যার তুলনায় স্থল শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন পুলিশ কার্যালয়ে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শত শত যাত্রীকে বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সাধারণত ভ্রমণ কর দিয়ে স্থল শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন পুলিশ কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে যাত্রীদের ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে এখন দেড় থেকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকেই আবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে ভারতে না গিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যাত্রীদের চাপের কারণে দম ফেলারও সুযোগ পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। আখাউড়ায় লাইন পেরিয়ে আগরতলা ঢুকে সেখানেও আবার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ধীমান রায় নামে এক যাত্রী জানান, পরিবার নিয়ে ভারতের আগরতলায় যাচ্ছি। লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট হচ্ছে। এরপরও যেতে হবে। কারণ হোটেল আগে থেকেই বুকিং করে রাখা হয়েছে।
Advertisement
আমিরজাদা চৌধুরী নামে এক যাত্রী জানান, ঈদের ছুটিতে ভেবেছিলাম ভারতের আগরতলা ঘুরে আসবো। দুপুরে চেকপোস্টে গিয়ে দেখি যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ভারত না গিয়েই বাড়ি ফিরে এসেছি।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশর বৈধ পাসপোর্ট-ভিসাধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চলে। এমনিতে প্রতিদিন দুই দেশের চারশ থেকে পাঁচশ যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। তবে ঈদ-পূজা এলে যাত্রীদের এ সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সাধারণত ঈদ-পূজার সময়টাতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের সিংহভাগই ভারতগামী। ঈদুল আযহার ছুটি উপলক্ষে গত ৯ আস্ট থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বুধবার এক হাজার ৮১৭ জন এবং বৃহস্পতিবার এক হাজার ৮৯৬ জন যাত্রী ভারতে গমন করেছেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেক পোস্টের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জাগো নিউজকে জানান, আমিসহ চারজন ইমিগ্রেশনে কাজ করছি। চারজন মিলেও যাত্রীদের চাপ সামরাতে পারছি না। ঈদের আগে থেকে যাত্রীদের যে স্রোত শুরু হয়েছে সেটি এখনও থামেনি।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস/পিআর
Advertisement