‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, তৃণমূল জিন্দাবাদ’ না বলায় হুগলীর কোন্নগরের কলেজের এক অধ্যাপককে পিটিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রীদেরও নির্যাতন করা হয়। আরও এই পুরো ঘটনা টুইট করে জাতীয় পর্যায়ে প্রচার শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
Advertisement
মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ এবং তৃণমূল জিন্দাবাদ না বলায় কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে আটকে রাখে টিএমসিপি। পরে তাদের ছাড়াতে যান কোন্নদক নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় অধ্যাপকের ওপর হামলা হয়। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অপর দল আক্রমণের হাত থেকে অধ্যাপক ও ছাত্রীদের রক্ষা করে।
অধ্যাপককে ফোন করে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যাপকের কাছে গিয়ে ক্ষমাও চান হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি এবং উত্তরপাড়ার বিধায়ক।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের কথা বলা হলেও তাতে রাজি হয়নি বিজেপি। এদিন বিকেলে অধ্যাপকের আহত হওয়ার ভিডিও টুইট করে বিজেপি।
Advertisement
টুইটে বলা হয়- দলের কর্মীদের আচরণের ব্যাখ্যা কীভাবে দেবেন মমতা, প্রশ্ন করা হয় টুইটে। বাংলার মানুষ এই ধরনের হিংসা দেখতে দেখতে ক্লান্ত।
অধ্যাপকের ওপর তৃণমূলের হামলা নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের শাসনে, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ মার খাচ্ছেন। এই সময় বুদ্ধিজীবীরা কোথায়। বুদ্ধিজীবীরা মমতার কেনা গোলাম বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
এমআরএম/এমএস
Advertisement