জাতীয়

ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাবেন শ্রমিকরা

আসন্ন ঈদুল আজহার আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী আজম।

Advertisement

সোমবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ আগস্ট দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হতে পারে।

শ্রম সচিব বলেন, ‘ঈদুল আজহার আগে আরেকটি সভা আমরা করব। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ অন্য যে মিল মালিকরা আছেন তারা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ করবেন। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

Advertisement

কত তারিখের মধ্যে মালিকরা বেতন-বোনাস পরিশোধ করবেন- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘সেই তারিখ আমরা পরবর্তী সভায় নির্ধারণ করব। তবে ঈদের আগেই দিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী সভা এ মাসের শেষ দিকেই হবে।’

আরও পড়ুন >> কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে গরু চুরি

আলী আজম বলেন, ‘মালিকরা সবাই এখান থেকে স্বীকার করে গেছেন যে, তারা ঈদের আগে বেতন-বোনাস দেবেন। যদি থেকে থাকে তবে বকেয়া বেতন-ভাতাও এ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ঈদুল ফিতরের আগে যে ব্যবস্থাপনা ছিল সেটার পরিপ্রেক্ষিতে মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। আমরা অত্যন্ত নির্ঝঞ্জাটভাবে, বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনাটি করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এর সঙ্গে যেসব স্টেকহোল্ডাররা সম্পৃক্ত ছিলেন আমরা তাদের আবারও অনুরোধ জানিয়েছি যে তারা যেন আগের মতো আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করেন।’

Advertisement

‘আমরা যাতে সুন্দরভাবে সকল শ্রমিকের বেতন-ভাতা, বোনাস দিয়ে বাড়িতে ঈদ করার জন্য পাঠাতে পারি। অত্যন্ত সুন্দরভাবে তারা তাদের ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারেন, আমরা সেই সহযোগিতা চেয়েছি।’

সচিব বলেন, ‘আরও কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, যেগুলো পরবর্তী সভায় আলোচনা করব। যেমন- ব্যাংকের ছুটি লাগবে কি-না, তথ্য সংগ্রহের জন্য কন্ট্রোল রুম করব- এসব বিষয়ে ডিটেইল (বিস্তারিত) আলোচনা করব।’

আরও পড়ুন >> কোরবানির ঈদেও ৯ দিনের ছুটি

তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় ধাপে ধাপে ছুটি দেয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে। আগামী সভায় কোন ধাপে কোন এলাকায় ছুটি দেয়া হবে- সেটা নির্ধারণ হবে।’

সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি; ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা এবং কোর কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। আরএমএম/এমএআর/এমকেএইচ