জাতীয়

ডেঙ্গুর চিকিৎসায় মেডিকেল টিম যাবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে

ডেঙ্গুর চিকিৎসায় আগামী ১৫ জুলাই থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মোবাইল (ভ্রাম্যমাণ) মেডিকেল টিম যাবে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।

Advertisement

রোববার সচিবালয়ে ঢাকা মহানগরীর মশা নিধন কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু মশা একটা আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মনে হয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেশি, যদিও মাত্র মৌসুম শুরু হয়েছে, ডেঙ্গুর মৌসুম শেষ হয়নি।’

এডিস মশা নিধনে রুটিন ওয়ার্কের বাইরে বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করে করণীয় নির্ধারণ করি। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ও কার্যক্রমের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু কিংবা চিকুরগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

Advertisement

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জুমায় ইমামরা খুতবায় বয়ান দিচ্ছেন, শিক্ষকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা অ্যাসেম্বিলিতে বাচ্চাদের এ বিষয়ে সচেতন করে তুলছেন।’

তিনি বলেন, ‘১৫ জুলাই থেকে ৪৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পাড়া-মহল্লাভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবস্থান নেবে। তার আগে এলাকাবাসীদের জানিয়ে দেয়া হবে যদি কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে বা ডেঙ্গু না হলেও যদি ঠান্ডা, কাশি, জ্বরসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মোবাইল টিম থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তাররা বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা দেবেন এবং ওষুধ সরবরাহ করবেন।’

‘টিমের চিকিৎসক যদি কোনো রোগীকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন মনে করেন তাহলে মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালসহ নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে এবং চিকিৎসার ব্যয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বহন করবে।’

১৫ জুলাই একটি হটলাইন চালু করা হবে জানিয়ে খোকন বলেন, ‘মেডিকেল টিমে গিয়ে কেউ চিকিৎসা নিতে না পারলে হট লাইনে ফোন করলেই স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা বাসায় চলে যাবেন।’

Advertisement

কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর

ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে চারটি ভাগে ভাগ করে একেকটি এলাকা থেকে মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজসহ সাতজন করে নাগরিক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্ডে ২৮ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা বিষয়গুলো তদারকি করছেন। আমাদের স্প্রে-ম্যান যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে সহজেই চিহ্নিত করতে পারছি এখন, যেহেতু একেবারে রুট লেভেলে আমাদের প্রতিনিধি দিয়েছি।’

আরএমএম/এনডিএস/পিআর