দেশজুড়ে

রাজশাহীর সেই বাস জব্দ

রাজশাহী কলেজের ছাত্র ফিরোজ আহমেদের এক হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় সেই বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। ‘মোহাম্মদ পরিবহন’ নামে বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-০৪৬২) শনিবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে জব্দ করা হয়।

Advertisement

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ফিরোজ এই বাসেরই যাত্রী ছিলেন। রাজশাহী-রংপুর রুটে চলাচলকারী এই বাসটি রাজশাহীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনালে থাকার কথা। কিন্তু সেটিকে লুকিয়ে শিরোইল বাস টার্মিনালে রাখা হয়েছিল। ফিরোজ জানিয়েছিলেন, তিনি যে বাসের যাত্রী ছিলেন তার ইংরেজি নামের প্রথম দুই অক্ষর ‘এম এবং ও’। তার এই ‘ক্লু’ কাজে লাগিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ফিরোজ মোহাম্মদ পরিবহনেরই যাত্রী ছিলেন, এটি নিশ্চিত হওয়ার পর গাড়িটিকে জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে চালক ও মালিক পলাতক। এখন চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ফিরোজ যে গাড়ির যাত্রী ছিলেন সেই গাড়ির চালক এবং যে গাড়ির চাপায় তার হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে সে গাড়ির চালককে আসামি করে নগরীর কাটাখালী থানায় মামলা হয়েছে।

Advertisement

ফিরোজের বাবা মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তখন পর্যন্ত শনাক্ত না হওয়ায় মামলায় আসামিদের অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরপরই পুলিশ একটি বাস জব্দ করল।

ফিরোজ রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার নামোইটগ্রাম মহল্লায় তার বাড়ি। গত শুক্রবার তিনি বাসে চড়ে রাজশাহী ফিরছিলেন।

তার ভাষ্যমতে, তিনি বাসের একেবারে শেষের সিটে বসে ছিলেন। আর ডান হাতে জানালার ভেতর দিয়েই সামনের সিট ধরে ছিলেন। ওই সময় বাসটি চলছিল খুব বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ ঝাকুনিতে তার হাত সিট থেকে আলাদা হয়ে জানালার বাইরে চলে যায়। তখনই বিকট শব্দে পাশের গাড়ির সঙ্গে বাসটি ধাক্কা খায়। এতে চাপা পড়ে তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে কেটে পড়ে যায়। তবে সেই সময় ফিরোজসহ কেউই পাশের গাড়িটিকে চিনতে পারেননি। সেটি ট্রাক নাকি বাস তাও জানেন না কেউ। তবে এখন সেটি সনাক্ত করা সম্ভব বলে মনে করছে পুলিশ।

নগরীর কাটাখালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানিয়েছেন, ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার একটি ফুটেজ দেখে মোহাম্মদ পরিবহনের চালককেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম মো. ফারুক। বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করা গেলেই জানা যাবে, কোন গাড়ির সঙ্গে তার বাসের ঘষা লেগেছিল।

Advertisement

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/জেআইএম