আন্তর্জাতিক

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রহস্যময় সেই চিত্রকর্ম সৌদি যুবরাজের ইয়টে

বিখ্যাত ইতালিয়ান শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা ৫০০ বছরের পুরনো চিত্রকর্ম ‘সালভেটর মুন্ডি।’ বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই চিত্রকর্ম নিউ ইয়র্কে নিলামে ৪৫ কোটি ডলারে বিক্রি হয়েছিল দুই বছর আগে। তারপর থেকেই বিশ্বের অন্যতম এক রহস্য তৈরি হয়েছে ভিঞ্চির ঐতিহাসিক এই তৈলচিত্র ঘিরে। কে এর মালিক কিংবা কোথায় আছে এই চিত্রকর্ম, দীর্ঘদিন ধরে ছিল তা অজানা।

Advertisement

কিন্তু লন্ডনভিত্তিক আর্ট ডিলার কেনি ক্যাচার আর্টনিউজের ওয়েবসাইটে দিলেন সেসব প্রশ্নের জবাব। তিনি লিখেছেন, এই চিত্রকর্মটি এখন প্রভাবশালী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মালিকানাধীন বিশালাকারের ব্যয়বহুল ইয়টে রয়েছে।

২০১৭ সালে নিউ ইয়র্কের ক্রিস্টিতে এক নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হয় চিত্রকর্ম ‘সালভেটর মুন্ডি।’ যিশু খ্রিস্টের প্রতিকৃতি হিসেবে অঙ্কিত এই চিত্রকর্মটির এক হাতে রয়েছে বিশ্বের স্বচ্ছ মানচিত্র; অন্য হাতে তিনি ঘোর অন্ধকার থেকে বিশ্বকে রক্ষার আশীর্বাদ করছেন।

আরও পড়ুন : জাকির নায়েককে ফেরত না পাঠানোর অধিকার আছে মালয়েশিয়ার : মাহাথির

Advertisement

নিলামে বিক্রি হওয়ার পর থেকে কখনই এই চিত্রকর্মটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়নি; যা নিয়ে শুরু হয় তুমুল সন্দেহ। কে এর মালিক বা কোথায় ঠাঁই মিলেছে এই চিত্রকর্মের; সেসব প্রশ্নের জবাব এতদিন মেলেনি।

তবে এই চিত্রকর্মটি আসলেই ইতালির বিখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এঁকেছিলেন কিনা; তা নিয়ে অনেক শিল্প বিশেষজ্ঞের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। অনেকেই বলছেন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এই চিত্রকর্মটি আঁকেননি। তবে তার কর্মশালায় এটি আঁকা হয়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।

বিশ্বের ব্যয়বহুল এই চিত্রকর্মটি সৌদি যুবরাজ বদর বিন আব্দুল্লাহ কিনে নিয়েছিলেন বলে প্রথমবারের মতো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষে তিনি এই চিত্রকর্ম কিনেছিলেন।

আরও পড়ুন : আমিরাতে লেবার ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন

Advertisement

এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত কিংবা অস্বীকার করেনি রিয়াদ। ‘সালভেটর মুন্ডি’র নিলাম ও বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে কেনি ক্যাচার দাবি করেছেন, রাতের আঁধারে নিউ ইয়র্ক থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে সৌদিতে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সেটিকে তার বিলাসবহুল ইয়ট দ্য সিরেনে রেখেছেন।

এসআইএস/এমকেএইচ