জাতীয়

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের আকার বেড়ে ৩ গুণ হচ্ছে

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের আকার বেড়ে ৩ গুণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

Advertisement

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সদরঘাটের বর্তমান যে স্পেস, তাতে যাত্রীর চাপ সংকুলান হয় না। এরই মধ্যে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি, এটি অনেকটা এক্সপান্ড হয়ে যাচ্ছে। এখন ২০টির মতো লঞ্চ পার্কিং করতে পারে। এটা দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। যদি এটা হয়ে যায় যাত্রীরা বিভিন্ন স্থান থেকে লঞ্চ ব্যবহার করতে পারবে, চাপ কমবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টেন্ডার কার্যক্রম চলছে।’

কবে নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা অনেক বড় বিষয়, আমরা পন্টুনগুলো তৈরি করছি, সেট করতে হবে। ন্যূনতম দুই বছর সময় তো লাগবেই।’

Advertisement

সদরঘাট ছাড়াও অন্যান্য ঘাটে যাত্রীসেবা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

নৌপরিবহন সচিব আবদুস সামাদ বলেন, ‘টার্মিনাল বাড়াতে ৬৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মূল কাজ চলতি জুনের শেষে বা আগামী জুলাইতে শুরু করা হবে। এ প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে টেন্ডার হয়েছে। সদরঘাট টার্মিনালকে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত জেলা অনুযায়ী আলাদা করে টার্মিনাল করতে দুই বছর সময় লাগবে।’

নদীর সীমানা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ অভিযান মেঘনা ও শীতলক্ষ্যায় চলমান থাকবে। শুধু আবাসিকে রোজার জন্য বন্ধ ছিল। শিগগিরই আবার চালু হবে। যেখানে অবৈধ দখলদার সেটা যাচাই-বাছাই করে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার ঈদে আমরা যেভাবে নৌ-যাত্রীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি, বলব না আমরা শতভাগ সফল হয়েছি, কিন্তু আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের ইচ্ছা ছিল আরও বেশি সেবা দেয়ার। সে ক্ষেত্রে কিছু অসহযোগিতা ছিল সে জন্য পরিপূর্ণ সেবাটা দিতে পারিনি।’

Advertisement

ঈদে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়ার জন্য মালিকদের বলা হয়েছিল জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘একবারে ছুটি দেয়ার কারণে একসঙ্গে নৌ সেক্টর নয়, সড়ক এবং রেলের ওপর যাত্রীর চাপ পড়েছে। এ জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। একটা বাড়তি চাপ (ঈদের আগের দু’দিন) আমাদের ওপর তৈরি হয়েছে। এ জন্য কিছু জটিলতা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখার চেষ্টা করব।’

সদরঘাট এলাকায় সড়কে পরিবহনের নৈরাজ্য রোধে ডিএমপি কমিশনার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থালিদ মাহমুদ।

ওয়াটারবাস নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নৌ সচিব বলেন, ‘পানিতে দুর্গন্ধের কারণে ওয়াটারবাসে যাত্রী যেতে চায় না। দ্রুতগতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে বলেও যাত্রী যেতে চায় না। এজন্য নদীগুলো প্রশস্ত করে শিগগিরই ওয়াটারবাস চালু করা হবে।’

আরএমএম/এনডিএস/পিআর