দেশজুড়ে

জোর করে বাজারের নাম বদলে দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়ন উত্তর লাউফুলা গ্রামে এক বছর আগে একটি বাজার বসানো হয়। ওই বাজারের নামকরণ করা হয় ‘খালেক বাজার’।

Advertisement

এরপর কয়েকদিনের মধ্যেই খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই বাজার। কিন্তু হঠাৎ করেই স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার হস্তক্ষেপে বাজারের নাম বদলে দেয়া হয়।

সেই সঙ্গে স্থানীয় ওই আওয়ামী লীগ নেতা জোর করে বাজারের নামকরণ করেন ‘আওয়ামী লীগ বাজার ও বঙ্গবন্ধু বাসস্ট্যান্ড’। এরপর থেকেই বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে ইউনিয়নজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাজারের নতুন নামকরণ করে ‘আওয়ামী লীগ বাজার ও বঙ্গবন্ধু বাসস্ট্যান্ড’ নামে সাইন বোর্ড লাগানো হয়। পরে ওই সাইন বোর্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, মধুপুরের আলোকদিয়া ইউনিয়নের উত্তর লাউফুলা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ আনারস চাষ করেন। প্রতিদিন সকাল বেলায় এ গ্রামে কাঁচা বাজার বসে। গত একবছর ধরে চলে এ বাজারটি।

প্রথমে বাজারটি বসানোর উদ্যোগ নেন আব্দুল খালেক নামের এক ব্যক্তি। কিছুদিনের মধ্যে বাজারটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর আব্দুল খালেক নিজের নামটি প্রচার করে বাজারের নামকরণ করেন ‘আব্দুল খালেক বাজার’। পরে এটি সবার কাছে ‘খালেক বাজার’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।

কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন না যেতেই একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ওই বাজারের নাম পরিবর্তন করে ‘আওয়ামী লীগ বাজার ও বঙ্গবন্ধু বাসস্ট্যান্ড’ রাখেন। এ নামকরণ নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ‘আওয়ামী লীগ বাজার ও বঙ্গবন্ধু বাসস্ট্যান্ড’ নামকরণের পর থেকেই বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রতিদিন বাজার না বসলেও নামকরণের সাইন বোর্ড টাঙিয়ে রাখা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলোকদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি আমি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করি। তাই বাজারটি ‘আওয়ামী লীগ বাজার ও বঙ্গবন্ধু বাসস্ট্যান্ড’ নামকরণ করেছি আমি।

Advertisement

আলোকদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এমন নাম দিয়ে বাজারের নামকরণ করা উচিত হয়নি। এতে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/পিআর