দেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান কাঠামোর সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
Advertisement
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাক্ষাতে তাসকীন আহমেদ এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
কোভিড মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, ২০২৪ সালে দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা পিছিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে করণীয় নির্ধারণ ও যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য ‘বাস্তবভিত্তিক উত্তরণ কৌশল (স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি-এসটিএস)’ প্রণয়ন করা আবশ্যক। পাশাপাশি এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়াও ওপর তিনি জোরারোপ করেন।
Advertisement
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সম্প্রতি শতাধিক পণ্যের উপর ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক ও কর বৃদ্ধির উদ্যোগের কারণে এরই মধ্যে দেশের সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে জনগণের জীবনযাত্রার ওপর আরও অধিক হারে চাপ ফেলবে, সেই সাথে ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।
এসআরএস/এমআইএইচএস