শেষ ২ ওভারে দরকার ৪০। মুকিদুল ইসলামের প্রথম তিন বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন জাকের আলী। শেষ বলে চার হাঁকান আরিফুল হক। ওই ওভারে উঠে ১৭ রান।
Advertisement
শেষ ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৩। মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। দ্বিতীয় বলে ওয়াইড, তারপর আবার চার। ৪ বলে দরকার ১২ রান। ম্যাচটা তখন সমানে সমান।
এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে মাথা ঠান্ডা রাখলেন মোস্তাফিজ। তৃতীয় বলে সিঙ্গেলসের পরের দুই বলে দুই উইকেট হারায় সিলেট। ১৩ বলে ২৯ করে আউট হন আরিফুল। পরের বলে সুমন খান রানআউট। শেষ বলে রুয়েল মিয়া চার মারলেও পরাজয় এড়াতে পারেনি সিলেট। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৬ রানের জয় পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
টানা ছয় ম্যাচে হার। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিদায় কার্যত হয়ে গেছে তখনই। তবে কাগজে-কলমে এখনও সম্ভাবনা আছে। আজ সিলেটকে হারিয়ে সেই সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখলো শাকিব খানের মালিকানাধীন দলটি।
Advertisement
৯ ম্যাচে এসে তারা পেয়েছে দ্বিতীয় জয়ের দেখা। হাতে আছে তিন ম্যাচ। বাকি তিন ম্যাচ জিতলে অনেক যদি-কিন্তু মিলিয়ে শেষ চারে থাকতেও পারে ঢাকার নাম। অন্যদিকে টানা তৃতীয় ম্যাচে হেরে চাপে পড়েছে সিলেট। তাদের ৮ ম্যাচে জয় ২টি।
আজ ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে বোল্ড হন জর্জ মুনসে (৫ বলে ৩), ৭ বলে ৮ করে জাকির হাসান হন মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার।
৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে মাত্র ৩৭ রান তোলে সিলেট। সেখান থেকে হাল ধরে দলকে এগিয়ে নেন রনি তালুকদার আর অ্যারন জোন্স। রনি ৩৩ বলে ফিফটি হাঁকান। তবে জোন্স ঠিক টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৩৬ করে থিসারা পেরেরার বল সোজা আকাশে তুলে দেন জোন্স। আরও চাপে পড়ে সিলেট। শেষ ৬ ওভারে দরকার পড়ে ৮৩ রান। ম্যাচটা আসলে ঢাকার দিকে হেলে গেছে তখনই।
Advertisement
রনি তালুকদার ৪৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৬৮ করে আউট হন। শেষবেলায় খেলা জমিয়ে তোলেন আরিফুল আর জাকের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। জাকের ১৩ বলে ২৮ আর আরিফুল সমান বলে ২৯ করে সাজঘরে ফেরেন।
থিসারা পেরেরা ৩১ রানে নেন ২টি উইকেট। মোস্তাফিজ ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪৬ রান।
এর আগে লিটন দাসের ৪৮ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের পুঁজি গড়ে ঢাকা ক্যাপিটালস।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় ঢাকা। ভালো শুরু করেছিলেন ওপেনার তানজিদ তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৬ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
নামিবিয়ার ব্যাটার জেপি কোৎজে ৮ বলে ৯ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৭ বলে ৪ রানে আউট হন।
চতুর্থ উইকেটে সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৩৮ বলে ৪২ রানের জুটি করেন লিটন। ২১ বলে ২ ছক্কায় সাব্বিরের ২৪ রানের ইনিংস থামে টিপু সুলতানের বলে বোল্ড হয়ে।
পঞ্চম উইকেটে সিলেটের বোলারদের উপর তাণ্ডবলীলা চালান লিটন ও থিসারা পেরেরা। ২৮ বলে তারা গড়েন ৮১ রানের জুটি।
১৯তম ওভারে রুয়েল মিয়ার বলে লং অনে লিটন ক্যাচ হলে জুটি ভাঙে। ৩৮ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলার পথে ৪টি করে চার-ছক্কা হাঁকান তিনি।
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন পেরেরাও। ১৭ বলে ৩৭ রান (৩ চার ৩ ছক্কা) করেন ঢাকার অধিনায়ক। অবশেষে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় পুঁজি গড়ে ঢাকা ক্যাপিটালস।
এমএমআর/এএসএম