বিনোদন

৭০ ভাগ শিল্পীই যাননি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইফতারে

শিল্পীরা সারা বছর নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও বিশেষ দিন বা বিশেষ কোনো আয়োজনে এক হওয়ার চেষ্টা করেন। পিকনিক কিংবা ইফতার পার্টিতে রীতিমতো শিল্পীদের মিলনমেলা বসে।

Advertisement

সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার, ২৪ মে ছিলো রাজধানীর রমনায় অবস্থিত পুলিশ কনভেনশন হলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিশা-জায়েদ প্যানেলের নেতৃত্বে কমিটির শেষ ইফতার এটি। তাই তারকা উপস্থিতিতে বেশ চমক থাকবে এবারের ইফতারে এমনটাই মনে করা হচ্ছিলো।

কিন্তু আশানুরুপ শিল্পীর উপস্থিতি ছিলো না এবারের আয়োজনে। শিল্পী সমিতির প্রায় ৭০-৮০ ভাগ শিল্পীই উপস্থিত ছিলেন না। ২০১৭ সালের নির্বাচনের তথ্য অনুযায়ী শিল্পী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৬২৪ জন। তার মধ্যে বিভিন্ন প্রজন্মের হাতে গোনা কয়েকজন নায়ক-নায়িকাকে দেখা গেছে ইফতারে।

উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা, চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, মাসুম পারভেজ রুবেল, আমিন খান, বাপ্পারাজ, সম্রাট, সাইমন সাদিক, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, পপি, বিদ্যা সিনহা মিম, রেসি, আঁচল প্রমুখ।

Advertisement

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তবে কমিটির মধ্য থেকে দেখা যায়নি সহসভাপতি চিত্রনায়ক রিয়াজসহ ফেরদৌস, পূর্ণিমা, ইমন, নিরব, নিপুণকে।

এছাড়াও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকনসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দেখা মিলেনি চিত্রনায়ক আলমগীর, ববিতা, কবরী, সুচরিতা, সুচন্দা, চম্পা, আনোয়ারা, ওয়াসিম, জাভেদ, উজ্জ্বল, ওমর সানি, মৌসুমী, অমিত হাসান, রত্নাসহ অনক অনেক তারকাই। অন্যান্য বছরগুলোতে চলচ্চিত্র অভিনয় শিল্পীদের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীরাও এই ইফতারে অংশ নেন। এবারে তাদেরকেও দেখা গেল না।

অনেক শিল্পীর ক্ষোভ আছে দাওয়াত নিয়েও। কেউ কেউ দাওয়াত না পেয়ে অভিযোগ করেছেন। কেউ আবার শিল্পী সমিতির অফিসে গিয়ে দাওয়াত কার্ড সংগ্রহ করতে বলার জন্যও কমিটির মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

২০১৭ সালে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর সেই বছরের ইফতারে শিল্পীদের উপস্থিতি দিয়ে চমক দেখায় মিশা-জায়েদ প্যানেল। কিন্তু তার ঠিক দুই বছর পরই সেই দৃশ্য বদলে গেল। বিশাল আয়োজনের ইফতারে দেখা মিললো না প্রায় ৮০ ভাগ শিল্পীর।

Advertisement

অনেকেই মনে করছেন শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির জনপ্রিয়তা প্রায় শূণ্যের কোটায় গিয়ে ঠেকেছে।

ক্ষমতায় বসার শুরুর দিকে সমিতির সৌন্দর্য বর্ধন ও শিল্পীদের প্রতি আন্তরিকতা দেখিয়ে বেশ আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা ধারাবাহিক করতে পারেনি মিশা-জায়েদ টিম। নানা রকম বিতর্কিত কার্যক্রম ও কমিটির আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় শিল্পীদের কাছে আস্থা হারিয়েছে এই নেতৃত্ব।

এমএবি/এলএ/জেআইএম