দেশে উন্নয়নের অন্তরালে লুটপাটের তুঘলকি কাণ্ড চলছে তারই প্রকৃত উদাহরণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, এমন মহাদুর্নীতি ইতিহাসের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
Advertisement
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের লুটপাট, জনগণের অধিকার হরণ, দেশব্যাপী ভয়াবহ সন্ত্রাস, গুম, খুন ও ধর্ষণের মতো জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ‘কে দেখবে এই দুর্নীতি? কে থামাবে এই মহামারি?’ ‘কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পায় না, অথচ চারদিকে লুটপাটের জয়গান’, ‘ইতিহাসের সেরা লুট চলছে।’
শুক্রবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নারায়ণগঞ্জ জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নের অন্তরালে মহালুটপাটে মহাব্যস্ত সুবিধাভোগি লুটেরা। একজন রাজনীতিক হিসেবে যখন দেখি মেগা প্রজেক্টে মহালুটপাটের উৎসব চলছে, তখন আমরা হতাশ হই। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল মানুষের অধিকার থাকবে, ভোটের অধিকার থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, প্রতিষ্ঠিত হবে একটি সুন্দর বাংলাদেশ। কিন্তু আজ সব লক্ষ্যই বনবাসে গেছে।
Advertisement
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে ন্যাপ মহাসচিব বলেন, যখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বুয়ার বেতন, ড্রাইভারের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তোলার দাম আকাশচুম্বী, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই।
তিনি আর বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে হরিলুট হয়েছে তা ইতিহাসে সেরা। দুর্নীতির কালো মেঘ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলেছে। দেশে দুর্নীতির সঙ্গে বেড়েই চলেছে বেকারের সংখ্যা, কৃষকের হাহাকার। জাতি চলমান লুটপাট থেকে মুক্তি চায়। এজন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতি যে হচ্ছে তার নমুনা এরই মধ্যে পত্র-পত্রিকায় এসেছে। ৬ হাজার টাকার বালিশ এর আগে কোন কোন প্রকল্পে কেনা হয়েছে তা জাতি জানতে চায়। ২৫০ টাকার বাজারমূল্যে বালিশ ৬ হাজার টাকায় এক মহা তুঘলকি কাণ্ড।
ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, মহানগর সভাপতি মো. শহীদুন নবী ডাবলু, সহ-মহিলা সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম ইমন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী নূর, নির্বাহী সদস্য মো. শওকত আলী, মানিক শাহ, সজিব ভুইয়া প্রমুখ।
Advertisement
কেএইচ/এমআরএম/এমএস