আন্তর্জাতিক

মার্কিন নৌবাহিনীর ৩২ নারী সহকর্মীকে ধর্ষণে তালিকা

নারী সহকর্মীদের ‘ধর্ষণের তালিকা’ তৈরির অভিযোগ উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে। ফ্লোরিডায় নিযুক্ত সাবমেরিন ইউএসএসের পুরুষ কর্মীরা ওই তালিকা ধরে নারী সহকর্মীদের কী ধরনের যৌন কার্যক্রম চালাবেন সেসব বিবরণও লিখেছেন।

Advertisement

এক বছর আগে এই তালিকা তৈরি করা হলেও সম্প্রতি সেই তথ্য ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন অ্যাক্টের মাধ্যমে মিলিটারি ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইটের হাতে এসে পৌঁছায়।

ওই ওয়েবসাইটের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন সাবমেরিন ইউএসএসের গোল্ড ক্রুর পুরুষ সদস্যদের মধ্যে নারীদের তৈরি করা দু’টি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে। ৩২ জন নারীকে নিয়ে ওই দুই তালিকা তৈরি করা হয়। এই ৩২ জন নারীও সাবমেরিনের গোল্ড ক্রুতে নিযুক্ত রয়েছেন।

আরও পড়ুন : জরিপের ফল আসতেই থমকে গেল বিরোধীদের মহাজোট গঠন

Advertisement

দুই তালিকার একটিতে ৩২ জন নারীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তারকা চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যটিতে নারীদের নামের পাশে যৌনতা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য। কোন নারী সহকর্মীর সঙ্গে কী ধরনের যৌন কার্যকলাপ চালানো হবে, তা লেখা রয়েছে তাদের নামের পাশে। যার প্রত্যেকটিই আক্রমণাত্মক যৌনতার পরিচয়।

মিলিটারি ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুই তালিকাই সাবমেরিনের গোল্ড ক্রুর সব পুরুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। দু’টি তালিকাই গোল্ড ক্রুর কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে রাখা ছিল। প্রথমে ক্রুর এক সদস্য সেটা দেখতে পান। প্রিন্ট করে নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান তিনি।

আরও পড়ুন : বৃহৎ ৩ রাজ্যের আভাসে তারতম্য, পাল্টে যেতে পারে হিসাব

এ ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালের জুনে। কে এই তালিকা বানিয়েছেন, তা টানা দু’মাস তদন্ত করেও বের করতে পারেননি সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন গ্রেগরি কেরচার। পরে ২০১৮ সালের আগস্টে তাকে ও আরো দুই সদস্যকে সরিয়ে দেয়া হয়।

Advertisement

আমেরিকার সাবমেরিন ফোর্সের কমান্ডার রিচার্ড মিলিটারি ডটকমকে বলেন, ‘এ ঘটনা যে ফের ঘটবে না তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আচরণ এবং চরিত্রের মানোন্নয়ন করা হবে, এটা নিশ্চিত।’ আনন্দবাজার।

এসআইএস/এমকেএইচ