ভ্রমণ

তুর্কি টি : লাভ রোজ পিঙ্ক রিলাক্স ভায়াগ্রা আরও কত কী

‘এই যে বাজার দেখছেন, এটি ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। শতশত বছরের পুরোনো এ বাজারটি এল সেইপ’ আদলে তৈরি। এখান থেকে সোজা ভেতরে প্রবেশ করে শেষ মাথায় গিয়ে বায়ে এল সেইপের মতো যে পথ চলে গেছে, তার শেষ মাথায় গিয়ে সবাই দাঁড়াবেন।’

Advertisement

‘এখন দুপুর আড়াইটা। সময় মাত্র আধা ঘণ্টা, ৩টার মধ্যে সবাই কেনাকাটা শেষ করে চলে আসবেন।’

টার্কিশ এয়ারলাইন্সের আমন্ত্রণে তুরস্ক সফরকারী মিডিয়া ট্যুরের সদস্যদের শপিংয়ের সময় বেঁধে দিয়ে এসব কথা বলছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত একজন গাইড।

ঝলমলে আলোকিত মার্কেটের দুই পাশে হরেক নামের হরেক দামের পণ্যের সরবরাহ। কোনো দোকানে তুরস্কের খ্যাতনামা চকলেট, কোথাও বাদাম, মসল্লা, কোথাও পোশাক আবার কোথাও বা ছোটখাট সুভেনিরের দোকান।

Advertisement

একটি দোকানের সামনে এসে প্রায় সবার চোখ আটকে গেল। দোকানের সামনে বিভিন্ন ধরনের চায়ের পাতা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। লাভ টি, রোজ টি, পিঙ্ক টি, রিলাক্স টি, লেমন টি, তুলশি টি, লোজ ওয়েটটি ও ভায়াগ্রা টি।

দোকানি সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে টার্কিশ আর আধো ইংরেজিতে ভেঙে ভেঙে কোন চায়ের কি গুণ তা বর্ণনা করতে লাগলেন।

তিনি জানালেন, শত শত বছর অর্থাৎ রাজা-বাদশাহদের আমল থেকে এসব চা জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কারও ভালোবাসা পেতে চাইলে তাকে কিংবা নিজে লাভ টি পান করলেই ভালোবাসা হবে কি না- জানতে চাইলে দোকানি মিষ্টি হেসে বলেন, তুমি কিনে নিয়ে যাওয়া, চা খেলেই প্রেমিকা প্রেমে পড়ে যাবে।

ভালো করে খেয়াল করে দেখা গেল গাছের পাতা থেকেই তৈরি হয়েছে এসব নানান রংয়ের চা। খেতে কেমন হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারলেও বর্ণিল রংয়ের চায়ের পাতা চোখে লেগে রইলো।

Advertisement

আধা ঘণ্টার বেঁধে দেয়ার সময় প্রায় শেষ। দ্রুত পা চালিয়ে বিভিন্ন পণ্যের শুধু দামই শোনা গেল। বাইরের ব্র্যান্ড মার্কেটে যেমন সবকিছুর এক দাম কিন্তু এ মার্কেটে গুলিস্তান-বঙ্গবাজারের মতোই দামাদামি করে দাম অনেকটাই কমানো যায়। সময়ের তাড়া থাকায় চোখে দেখেই ক্ষান্ত হতে হলো, কেনা আর হলো না।

এমইউ/জেডএ/জেআইএম