আন্তর্জাতিক

ক্রাইস্টচার্চের প্রতিশোধ নিতেই ইস্টার সানডের হামলা : শ্রীলঙ্কা

গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতেই ইসলামি চরমপন্থীরা শ্রীলঙ্কায় সমন্বিত হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির এক মন্ত্রী। মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুয়ান উইজেওয়ারদানা এ দাবি করেন।

Advertisement

তিনি বলেছেন, রোববারের সমন্বিত হামলা ক্রাইস্টচার্চে হামলার প্রতিশোধে চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারাবাহিক বোমা হামলা একটি ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠী চালিয়েছে বলে দেখা গেছে। চরমপন্থী এই দলটির নাম ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে)।

তবে ইস্টার সানডের সকালে শ্রীলঙ্কার তিনটি গির্জা, তিনটি বিলাসবহুল হোটেল ও আরো দুটি স্থাপনায় সংঘবদ্ধ বোমা হামলায় ৩২১ জনের প্রাণহানি ও আরো ৪ শতাধিক মানুষ আহত হলেও এই হামলার দায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত স্বীকার করেনি।

আরও পড়ুন : গির্জায় প্রবেশের আগে শিশুর মাথা স্পর্শ করে হামলাকারী (ভিডিও)

Advertisement

গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট সশস্ত্র হামলা চালায়। অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এই সন্ত্রাসীর গুলিতে ৫০ মুসল্লির প্রাণহানি ঘটে।

রুয়ান উইজেওয়ারদানা বলেছেন, তদন্তে দেখা গেছে ক্রাইস্টচার্চে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে রোববারের হামলা হয়েছে। তবে তার এই দাবির পক্ষে কোনো ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি লঙ্কান এই মন্ত্রী।

হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে দেশটির সরকারি বিভিন্ন দফতরে একটি গোপন গোয়েন্দা চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠীর এক সদস্য বোমা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি ওই সন্ত্রাসী তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে চরমপন্থী কিছু কনটেন্ট পোস্ট করে হামলার প্রস্তুতির জানান দিতে থাকে।

আরও পড়ুন : সুইজারল্যান্ডে তুর্কি কনস্যুলেটে বোমা হামলা

Advertisement

সন্দেহভাজন এই সন্ত্রাসী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হামলার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামলায় ব্যবহৃত রসদ এবং হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে, হামলাকারীরা কয়েক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন।

এসআইএস/এমএস