প্রবাস

ইতালিতে ভেনিস বাংলাদেশ সমিতির অভিষেক

ইতালিতে বাংলাদেশ সমিতি ভেনিসের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস, অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ভেনিসের মেসরে ভিয়া ফরতে মারঘেরা ১৯১ মেট্রোপলিটানা শহরে ভেনেজিয়া অডিটোরিয়ামে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে নবগঠিত বাংলাদেশ সমিতি ভেনিসের মহান স্বাধীনতা দিবস, অভিষেকও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজিত হয়।

Advertisement

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোমলমতি শিশুরা অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। পরে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

সবার উপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের মুসলিম হত্যা ও ঢাকার বনানীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। বাংলাদেশ সমিতি ভেনিসের সভাপতি মজিবুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল্লাহ আল বাকি রোনাকের প্রাণবন্ত পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভেনিস কমুনের মেয়র লুইজি ব্রোনিয়ারোর।

এ ছাড়া প্রতিনিধি প্রথম কাউন্সিলর রেনাতো বোরাজো, ভেনিসের মেস্ত্রে পৌরসভার প্রেসিডন্ট ভিচেন্সো কন্তে, ফাভারো পৌরসভার প্রেসিডেন্ট মারকো বেল্লাতো, ফাভারো পৌরসভার উপদেষ্টা সেরজো সিনয়র, বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল ভেনেতো রেজিওনের জান আলবের্তো স্কারপা, ভেনিস ক্রিকেট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আলবের্তো মিজ্জিয়ানি, ভেনিস বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সারোয়ার, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এোভিজোর সভাপতি ওবায়দুর রহমান রতন প্রমুখ।

Advertisement

আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মনির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন মোহাম্মদ, সহ-সভাপতি কাশেম সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নেমাল চৌধুরী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলামসহ ভেনিসে অবস্থিত প্রায় সকল সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

এ সময় বক্তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথির কাছে আবেদন জানান ভেনিসের সকল মুসলমানদের প্রার্থনার জন্য একটি স্থায়ী মসজিদের জন্য। এ ছাড়াও একটি খেলার মাঠ ও প্রবাসীদের আতঙ্ক বেবীগেংদের আক্রমণের হাত থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আলোচনা সভা শেষে নতুন কমিটির অভিষেক ও সবার অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক লটারীর আয়োজন করা হয়। লটারীতে ৩২ ফিলিপস টিভিসহ মোট ৮টি আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পরিশেষে সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশিক পলসের পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। এতে জার্মান, অস্ট্রিয়া, মিলান, তোরিনো, ত্রেভিজো থেকে আগত ও স্হানীয় শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।

Advertisement

এমআরএম