বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন নেভানো হয়েছে গতকালই। আগুনে পোড়া চিহ্নের সাক্ষী হয়ে থাকা ভবনের সামনে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে দাঁড়িয়ে ছিল হাজারও মানুষ। মন খারাপ করে পোড়া দাগ আর কাঁচ ভাঙা ভবনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তারা।
Advertisement
সবার চেহারায় যেন স্বজন হারানোর ছাপ। এদের মধ্যে নির্বাক দাঁড়িয়ে মাঝবয়সী আহসান উল্লাহ। থাকেন বনানী সি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কে। ঢাকার বাহিরে থাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় আসতে পারেননি। সকালে দিনাজপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছে ভবনটির সামনে আসেন।
তিনি আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে জাগো নিউজকে বলেন, ৯ তলায় আমার এক আত্মীয়ের সিকিউরিটি কোম্পানির অফিস ছিল। ওই অফিসের একজন স্টাফ মারা গেছেন। খুব খারাপ লাগছে। আল্লাহ জাতিকে এমন বিপদে যেনো আর না ফেলেন।
মোমিন নামে একজন জানান, রাতভর এফ আর টাওয়ারের সামনে শোকার্ত মানুষের ভিড় ছিল। কেউ ছিলেন স্বজনের খোঁজে আবার কেউ ছিলেন উৎসুক।
Advertisement
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখনও উদ্ধারে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে বনানীর এফ আর টাওয়ারের নবম তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারের কাজ করে। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং পুলিশ, র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উদ্ধারের কাজে সহায়তা করে।
আরএম/এএইচ/এমএস
Advertisement