অর্থনীতি

দরপতন অব্যাহত, ডিএসইতে বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন

দরপতনের ধারা থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে চলতি বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।

Advertisement

এদিন লেনদেন শুরুর ১০ মিনিট পর থেকেই নিম্নমুখী হয় পড়ে শেয়ারবাজারের সবকটি মূল্যসূচক। ব্যাংক, আর্থিক খাতসহ প্রায় সবকটি খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার কারণে এই নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৪টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

Advertisement

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। লেনদেনের পরিমাণ শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেনি, এদিন ডিএসইতে তিন মাসের মধ্যে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ডিএসইতে ৩৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। এরপর ডিএসইতে বৃহস্পতিবারের আগে আর ৪শ’ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি।

এই লেনদেন পতনের দিনে টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরেই রয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে এর পরেই রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, রূপালী লাইফ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মেরিকো বাংলাদেশ।

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৩৬ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৭টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।

এমএএস/এমবিআর/জেআইএম