জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে রাজধানীর দোহারে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন।
Advertisement
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ জন হলেন- সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, দিদার (পলাতক), এরশাদ (পলাতক), কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, নিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরফে সুজা, জলিল কারিগর (পলাতক), জালাল, বিল্লাল, ইব্রাহিম (পলাতক) ও আ. লতিফ।
আদেশে তাদের ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- মজিদল ওরফে মাজেদা ও চায়না বেগম। তারা দু’জনই পলাতক। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।
Advertisement
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের সাথে ভিকটিমের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে দেওয়ানি ও ফৌজদারি একাধিক মামলাও চলছিল। এর মাঝে ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল সকালে বুড়িগঙ্গা ব্রিজের পাশে নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় আসামিরা ভিকটিম নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার স্ত্রী সূর্যভান এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনায় ওই দিনই (৩ এপ্রিল) দোহার থানায় নিহত নজরুলের মামা নাজিমুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ওই বছরের ২৬ জুলাই ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষী দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি কাজি সাহানারা ইয়াসমিন রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার ভিকটিম নজরুল ইসলাম ফেরি করে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। জায়গা-জমির বিরোধের জেরে তাকে (নজরুল ইসলাম) আসামিরা হত্যা করে। আদালত বিচার শেষে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
জেএ/আরএস/জেআইএম