আন্তর্জাতিক

অস্ত্র আইন সংস্কারে বৈঠকে বসছে নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা

নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে জরুরি ভিত্তিতে পরিবর্তনের জন্য সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

Advertisement

শুক্রবারে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে।

হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট একটি সেমি অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়।

হামলাকারী যে ধরণের সেমি অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল, আশা করা হচ্ছে, দেশটির মন্ত্রি পরিষদ সে ধরণের অস্ত্রের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

Advertisement

ঘটনার পরে পুলিশ জানায়, টারান্টের অস্ত্রটি বৈধ, যে কারণে তার গুলি কিনতেও অসুবিধা হয়নি।

সেদিনই বিষয়টি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এর আগে কয়েকবারই অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনতে চাইলেও সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার এই ভয়াবহ ঘটনার পর তড়িঘড়ি আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে, ওই দুই হামলায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর শুরু হয়নি।

বুধবার নাগাদ পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে, সেখানকার করেনার কার্যালয়।

Advertisement

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে হামলাকারী ব্রেন্টন টারান্টের দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ওই এলাকায় ব্রেন্টন জন্মেছেন ও বেড়ে উঠেছেন।

ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে হামলার ঘটনা ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করেছিলেন ব্রেন্টন টারান্ট। এর আগে তিনি এক তথাকথিত ইশতেহার প্রকাশ করেন যেখানে তিনি তার সহিংস কট্টর দক্ষিণপন্থী মতাদর্শ তুলে ধরেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভাষায়, ব্রেন্টন টারান্ট আসলে একজন ‘উগ্র দক্ষিণপন্থী সন্ত্রাসবাদী’।

উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার দিনে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক অস্ট্রেলীয়। এতে এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।

এ ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কাছাকাছি লিনউড মসজিদেও দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। শান্তির দেশে এমন জঘন্য হামলার ঘটনায় গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন এই হামলাকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন।

এমবিআর /এমকেএইচ