মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের প্রথম মৌসুমেই প্রায় পৌনে দুই কোটি কেজি চা বিক্রি হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫২১ কোটি টাকারও বেশি।
Advertisement
চাহিদা ও বাজার বিস্তৃতির বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চালু হয় পানীয় পণ্যটির আন্তর্জাতিক নিলাম কেন্দ্র। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে দেশে চায়ের এ দ্বিতীয় নিলাম কেন্দ্রটি প্রত্যাশা অনুযায়ী বেশ ভালো করছে। এ কেন্দ্রে প্রথম মৌসুমেই ১০টি আন্তর্জাতিক নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নিলামে সব মিলিয়ে বিক্রি হয়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি কেজি চা।
প্লান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিপিটিএবি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এর নিলাম কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৪ মে। এ মৌসুমের সর্বশেষ নিলামটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। সমাপ্ত মৌসুমে প্রতি মাসে গড়ে একটি করে মোট ১০টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫২১ কোটি টাকা মূল্যের ১ কোটি ৭৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫০ কেজি চা বিক্রি হয়েছে।
২০১৮ সালের ১৪ মে প্রথম ১৫ কোটি টাকা মূল্যের নিলামের পর দ্বিতীয় নিলাম অনুষ্ঠিত হয় ২৫ জুন। সে দিন ৩৫ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়। ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত তৃতীয় নিলামে বিক্রি হয় ৫১ কোটি টাকায় চা। ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট চতুর্থ নিলামে সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়েছিল।
Advertisement
এরপর যথাক্রমে ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পঞ্চম নিলামে ৭০ কোটি টাকার, ২৯ অক্টোবর ষষ্ঠ নিলামে ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকার, ২৬ নভেম্বর সপ্তম নিলামে ৭৪ কোটি টাকা এবং ১৭ ডিসেম্বর অষ্টম নিলামে ৭৫ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়।
একই মৌসুমে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক নিলামে ৫৮ কোটি টাকার এবং গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নিলামে ৫ কোটি টাকার চা বিক্রি হয়।
টিপিটিএবির সদস্য সচিব জহর তরফদার জাগো নিউজকে জানান, প্রথম মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। তবে, পর্যাপ্ত ওয়্যারহাউজ থাকলে মাসে একটির পরিবর্তে দুইটি নিলাম সম্ভব হতো এবং বিক্রির পরিমাণও দ্বিগুণের কাছাকাছি হতো।
তিনি আরও জানান, অনেকগুলা ওয়্যারহাউজের কাজ প্রায় শেষ। তাই আগামী মৌসুমে এ কেন্দ্রে মাসে একটির পরিবর্তে দুটি আন্তর্জাতিক নিলাম আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এতে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে।
Advertisement
রিপন দে/এমএমজেড/জেআইএম