ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ক্রিস গেইল। একাই দমিয়ে রেখেছেন ইংলিশ বোলিং আক্রমণকে। কিন্তু তার পছন্দের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বইলো না গেইলের টর্নেডো। তরুণ নিকলাস পুরান অগ্রজ সতীর্থের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করলেও তাকে ছাপিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন টম কুরান, জনি বেয়ারস্টোরা।
Advertisement
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় পেয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৬০ রানের পুঁজি ১৮.৫ ওভারেই তাড়া করে ফেলেছে ইংলিশরা। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন কুরান, ব্যাট হাতে ৬৮ রান করেছেন বেয়ারস্টো।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের ৫ বলেই ১৭ রান করে ফেলে ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ বলে সাজঘরে ফিরে যান অ্যালেক্স হেলস। তৃতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান জো রুট। অথচ দলের রান তখন ২.৩ ওভারে ৩২ রান!
শুরুতেই টপঅর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারালেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং থামাননি বেয়ারস্টো। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে নিয়ে গড়েন ৩৬ বলে ৫১ রানের জুটি। যেখানে মরগ্যানের অবদান ১৬ বল থেকে মাত্র ৮ রান। ৮৩ রানের মাথায় ফেরেন মরগ্যান।
Advertisement
দলের সংগ্রহে আরও ২০ রান যোগ করে আউট হন বেয়ারস্টো। দলের রান তখন ১১.৩ ওভারে ১০৩। যেখানে বেয়ারস্টো একাই করেন ৪০ বলে ৬৮ রান। নিজের ইনিংসটি সাজান ৯ চার ও ২ ছক্কার মারে। শেষদিকে জো ডেনলির ৩০ এবং স্যাম বিলিংসের ১৮ রানের ইনিংসে জয়ের জন্য বেগ পেতে হয়নি ইংলিশদের।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ক্যারিবীয়রা। পাওয়ার প্লে'র মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শাই হোপ (৬), ক্রিস গেইল (১৫) এবং শিমরন হেটমায়ার (১৪)। চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন ড্যারেন ব্রাভো এবং নিকলাস পুরান।
দুজনের ৫১ বলে ৬৪ রানের জুটিতে ব্রাভোর অবদান ৩০ বলে ২৮ রান। শুরুর ধাক্কা সামনে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩ চার ও ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন নিকলাস পুরান। কিন্তু শেষদিকে কেউই তেমন হিটিং করতে না পারায় ১৬০ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ইংল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন টম কুরান। ৩ ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান। মাত্র ১ উইকেট নিলেও কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৫ রান খরচ করেন আদিল রশিদ।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম