ভারতের গোলাবর্ষণে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের চারজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কোটলি, ভিম্বার ও পুঞ্চ জেলায় এ হামলা চালানো হয়।
Advertisement
এদিকে সীমান্তের শূন্যরেখায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভারী মর্টারশেল হামলায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন।
এছাড়া ভারতীয় পত্রিকা দ্য হিন্দু দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের পাঁচটি সীমান্ত ফাঁড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি)।
Advertisement
আরও পড়ুন >> যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকুন : সেনাবাহিনীকে ইমরানের নির্দেশ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) কমপক্ষে ৪৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর মাঝেই মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ১২টি মিরাজ-২০০০ জঙ্গিবিমান নিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় অভিযান চালায় ভারতীয় নৌ-বাহিনী। বিমান থেকে এক হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের বেশ কিছু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি।
এ নিয়ে দুই দেশের মাঝে যুদ্ধংদেহী অবস্থা বিরাজ করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে জরি এক বৈঠকের পর সেনাবাহিনী ও দেশের সাধারণ মানুষকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন >> পাকিস্তানের কড়া হুমকি, উপরের নির্দেশ পেলেই পাল্টা হামলা
এদিকে, পাক-কাশ্মীরে অভিযানের ব্যাপারে ১২টি দেশের প্রতিনিধিকে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সচিব বিজয় গোখলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কসহ আসিয়ানের সদস্য ছয় দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন।
বৈঠকে ভারতীয় বিমান বাহিনী সীমান্ত রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রতিনিধিদের অবহিত করেন তিনি।
ভারত বলছে, কাশ্মীরে ভারতীয় অভিযানে জয়েশের প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহারসহ অন্তত ৩০০ জঙ্গি মারা গেছেন। তবে হামলায় কোনো ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তারা বলছে, পাকিস্তানের যথাযথ জবাবে পালিয়ে গেছে ভারতীয় বিমান।
বিএ