আন্তর্জাতিক

লাইভ প্রোগ্রামে গায়ে কাপড়ই রাখলেন না নারী অতিথি

একটি টকশো প্রোগ্রামে শার্ট পরে উপস্থিত হয়েছিলেন এক নারী অতিথি। তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুইজন নারী ও একজন পুরুষ অতিথি। প্রোগ্রাম চলাকালীন অকস্মাৎ ওই নারী অতিথি তার গায়ের শার্ট খুলে ফেলেন। সম্পূর্ণ অনাবৃত হয়ে পড়ে তার বক্ষ। ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে যান অনুষ্ঠানের সঞ্চালক।

Advertisement

বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। অতিথি আর কেউ নন, দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের বোন র‌্যাচেল জনসন। পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক। ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন। অনুষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্কাই নিউজ সম্প্রচার করছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তিনি এমন অদ্ভূত পন্থা বেছে নেন। তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিট বিষয়টি বর্তমানে এমন অবস্থায় চলে এসেছ যে, কেউ বিষয়টির দিকে কানই দিতে চান না। আমরা একটা চরম সময় পার করছি। আমি মনে করি, ব্রেক্সিট ব্রিটেনের পোশাক। সেই পোশাককে খুলে ফেলার চেষ্টা চলছে।’ এই বলে তিনি তার শার্ট খুলে ফেলেন।

এই সাংবাদিক আরও জানিয়েছেন, তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ ড. ভিক্টোরিয়া বেটম্যানকে দেখে এমনটি করতে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ওই নারী অর্থনীতিবিদ ব্রেক্সিটের প্রতিবাদে নগ্ন হয়ে বিবিসি রেডিও৪-এর একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। তার উন্মুক্ত বুকে লেখা ছিল-‘ব্রেক্সিট লিভস ব্রিটেন নেকেড’। যার অর্থ হলো ইইউ থেকে ব্রিটেনের সরে যাওয়া মানে ব্রিটেনের কাছ থেকে বস্ত্র হরণ করা।

Advertisement

নগ্ন হওয়ার পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন এই নারী অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের শরীর কি শুধু সেক্স করা আর বাচ্চাদের লালন করার জন্য? আমরা কেন আমাদের শরীরকে এসব বাদেও অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যবহার করব না?’

মিসেস জনসন অবশ্য পরে টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি পুরোপুরিভাবে তার বক্ষযুগল উন্মোচন করেননি। স্তুনের ওপর বুব টিউব (এক ধরনের বক্ষ বন্ধনী) পরেছিলেন। তাই বলা যাবে না যে, তিনি সম্পূর্ণভাবে নগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন।

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের অপসারণ, যা সংক্ষেপে ব্রেক্সিট নামে পরিচিত। ব্রিটেন ১৯৭৩ সালে ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর লক্ষ্য ছিল সুলভমূল্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য ও অভিন্ন বাজারসুবিধা।

১৯৯৩ সালে ইইউ নিজস্ব মুদ্রা, নীতিমালা, নাগরিকদের জন্য সীমানামুক্ত বিচরণসহ যুক্ত করাসহ অনেকগুলো পরিবর্তন আনে। কিন্তু অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ব্রিটেনের ইইউর বিধি-নিষেধ মেনে চলা নিয়ে বেশ নাখোশ।

Advertisement

তাই ইইউ থেকে ব্রিটিশ জনগণের থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বা ব্রেক্সিট নিয়ে ২০১৬ সালের ২৩ জুন এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।

এসআর/পিআর