আন্তর্জাতিক

কাতারের ওপর আরোপিত সৌদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় যুক্তরাষ্ট্র

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে স্বাক্ষাতের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কাতারের ওপর আরোপিত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার রাজধানী রিয়াদে ইয়েমেন যুদ্ধ, সিরিয়া সংকট, কাতার ইস্যুতে উপসাগরীয় কূটনৈতিক সংকট-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে যুবরাজের সঙ্গে আলোচনা করেন মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Advertisement

বৈঠকে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান কমিয়ে আনার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও মাইক পম্পেও। মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার এই সফরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড ও কাতারের ওপর প্রতিবেশি দেশগুলোর আরোপিত অবরোধ আলোচ্যসূচির শীর্ষে রয়েছে।

সোমবার সকালের দিকে রিয়াদে পৌঁছান মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিক। সেখানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গেও স্বাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।

আরও পড়ুন : শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে তিন ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

Advertisement

এর আগে রোববার দোহায় কাতারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মাইক পম্পেও। ওই বৈঠকেও কাতারের ওপর সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরোপিত ১৯ মাসের অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।

২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি নেতৃত্বাধীন জিসিসির সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও জিসিসির বাইরের দেশ মিসর কাতারের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে অবরোধ আরোপ করে। সৌদি নেতৃত্বাধীন এই তিন দেশ সেই সময় কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিযোগ আনে। কিন্তু কাতার বরাবরই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

আরও পড়ুন : ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ দেয়া বন্ধ করল ডব্লিউএফপি

রোববার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান জসিম আল থানির সঙ্গে দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন মাইক পম্পেও। সম্মেলনে পম্পেও বলেন, আমরা সবাই যখন একসঙ্গে কাজ করি, তখন আমরাই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী; বিরোধ সীমিত।

Advertisement

কাতার এবং অবরোধ আরোপকারী দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে অবরোধ প্রত্যাহার চেষ্টা থমকে আছে। আঞ্চলিক সংহতির জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে বলে সম্প্রতি মার্কিন দূত অ্যান্থনি জিন্নি মধ্যস্থকারীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

সূত্র : আলজাজিরা।

এসআইএস/এমএস