টানা উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে শেয়ারবাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের উল্লম্ফন হয়েছে। উভয় বাজারে নতুন বছরে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই উল্লম্ফন ঘটলো। আর শেষ ১১ কার্যদিবস টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার।
Advertisement
মূল্য সূচকের টানা ঊর্ধ্বমুখিতার পাশাপাশি লেনদেনেও তেজিভাব দেখা দিয়েছে। তিনশ থেকে চারশ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া ডিএসইর লেনদেন রোববার (৬ জানুয়ারি) হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। মূল্য সূচক ও লেনদেনের বড় উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
এদিন লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৬২টির। আর ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
Advertisement
দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১০১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিএস কেবলসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩১ কোটি সাত লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ব্র্যাক ব্যাংক, ড্রাগন সোয়েটার, খুলনা পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইনটেক লিমিটেড এবং অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৫৩১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি এক লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০২টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৫৩টির। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
Advertisement
এমএএস/এএইচ/জেআইএম