আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ভোট দেয়া নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকার প্রয়োগের সময় একজন ভোটার যা করতে হবে-
Advertisement
ভোটের স্লিপ সঙ্গে আনবেন : ভোটকেন্দ্রে ঢোকার আগে অবশ্যই ভোট স্লিপ সংগ্রহ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলের অফিস থেকে ইতোমধ্যেই এই স্লিপ প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা। অনেক এলাকায় প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও বাড়ি বাড়ি এই স্লিপ সরবরাহ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ ভোট স্লিপ না পেয়ে থাকেন, তবে তিনি যে এলাকার ভোটার সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে অথবা ইউনিয়ন পরিষদ ও চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গেলে মিলবে এই স্লিপ।
জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে না : অনেকে মনে করেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট দেয়া যাবে না। এটি একদমই ভুল ধারণা। তবে ইভিএমে ভোট দিতে গেলে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে যাওয়া উত্তম। তা না হলে আঙুলের ছাপ দিয়ে আপনাকে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট দিতে হবে।
ইভিএমে ভোট : এবার মোট ৯০০ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। বামপাশে প্রার্থীদের প্রতীক ও ডানপাশে নাম থাকবে। ইভিএমে বোট দেয়ার আগের স্মার্ট কার্ড/আঙ্গুলের ছাপ/ভোটার নম্বর/জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের মাধ্যমে একজন ভোটারকে সনাক্ত করা হবে। এরপর ইভিএমে পছন্দের প্রতীকের বামপাশে কালো বোতামে চাপ দিলে প্রতীকের পাশের সাংকেতিক বাতি জ্বলে উঠবে। এর পর ডানপাশের সবুজ বোতামে চাপ দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
ভোট কেন্দ্রে যা যা নিষিদ্ধ : ভোটকেন্দ্রে ভোটার স্লিপ ছাড়া আর কিছুই নেয়া যাবে না। কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ, ম্যাচ, লাইটার, ধারালো বস্তু, ব্যাগ বহন, মোবাইল ফোন সবই নিষিদ্ধ।
সেলফি/চেক-ইনও ‘না’: ভোট কেন্দ্রের ভেতরের কোনো ছবি বা ব্যলটের ছবি অথবা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে চেক-ইন দেয়া একদমই নিষেধ৷ তবে ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসে নিশ্চিন্তে চেক-ইন দিতে ও সেলফি তুলতে পারবেন৷
যেভাবে ভাঁজ করবেন ব্যালট পেপার : ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় সিল দেয়ার পর এমনভাবে ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে যাতে সিলের কালি অন্য মার্কায় না ছড়ায়। ব্যালটের ভাঁজ ঠিক না হলে আপনার ভোট বাতিল হতে পারে। নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলে ব্যালট পেপার ভাঁজ পদ্ধতি দেখিয়ে পরমর্শমূলক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে। সেটি দেখে নিতে পারেন।
শারিরীক সমস্যায় নেয়া যাবে সঙ্গী : কোনো ভোটার বৃদ্ধ, অসুস্থ বা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলে সঙ্গে একজন সহায়তাকারী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সহায়তাকারীর সঙ্গে ভোটার আইডি থাকতে হবে।
Advertisement
আপনার ভোট আগেই কেউ দিলে যা করবেন : ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যদি দেখেন আপনার ভোট অন্য কেউ আগেই দিয়ে ফেলেছে, তাহলে হতাশ হবেন না। ভোটার স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা আঙুলের ছাপ দিয়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারলেই আপনিও ভোট দিতে পারবেন। প্রিসাইডিং অফিসার তার সই করা ব্যালটে আপনার ভোট নিয়ে সেটি তার কাছে রাখবেন। পরবর্তীতে গণনার সময় এটি যুক্ত করবেন। এই ভোটকে বলা হয় ‘টেন্ডার ভোট’।
ডয়েচে ভেলে/এমএমজেড/এমকেএইচ