একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন নয়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে- এমন প্রশ্নের উত্তরে রিজভী বলেন, ‘না, আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব। এর আগে আপনরা দেখেছেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও কী পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, আমরা ছিলাম। গণতন্ত্রের জন্য যতটুকু পারব আঁকড়ে ধরব। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব।’
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার প্রধান যে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে, এখন প্রতি মুহূর্তে তার উপর জুলুমের নিদর্শন দেখলেই সেটি স্পষ্ট বোঝা যায়। প্রতিটি কারাবন্দির সাত দিন পর পর নিকটজনদের সাক্ষাতের বিধানের নিয়ম ভেঙে সরকার বেগম জিয়াকে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে পনের দিন পর পর। এটিও বেগম জিয়াকে মানসিকভাবে নির্যাতনের একটি পন্থা।’
তিনি বলেন, ‘আবারও নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বানানো গল্প ফাঁদতে ব্যবহার করা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। অবশ্যই ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে ঘিরে নানামুখী চক্রান্তজালের এটি একটি অংশ। তবে কলঙ্কলেপনের জন্য অবিশ্বাসযোগ্য মিথ্যা অপপ্রচার জনগণের সাথে মশকরা করারই সামিল।’
Advertisement
রিজভী বলেন, ‘সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম ও র্যাবের অভিযানে ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নুরউদ্দিন অপুকে জড়িয়ে যে কাল্পনিক কাহিনি রচিত হয়েছে তা বুঝতে আর কারো বাকি নেই। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে- সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈনউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন- তারেক রহমান নাকি বিদ্যুৎ খাত থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন। অথচ জানা গেল ৫ বছরে বিদ্যুৎখাতে বাজেটই ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত হামলা-মামলায় ক্ষতবিক্ষত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বীরত্ব দেখাচ্ছেন র্যাবের কিছু কর্মকর্তা। সমকালের এই প্রতিবেদনে প্রকাশিত র্যাবের অভিযান ও মহাপরিচালকের ব্রিফিংয়ে এটি প্রমাণিত যে, শরীয়তপুর-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নুরউদ্দিন অপুর ওপর হামলা ছিল সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত। এই সহিংস ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঢাকতেই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে কোটি কোটি টাকর নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘গত ৮ নভেম্বর ২০১৮ তফশিল ঘোষণার পর থেকে গতকাল (২৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার) পর্যন্ত মোট ৮২৪৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া গায়েবি ও মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৭৭৩টি। মোট হামলার সংখ্যা ২৬৯৩, মোট আহতের সংখ্যা ১২ হাজার ৩৫৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৪ জন।’
কেএইচ/আরএস/এমকেএইচ/এমএস
Advertisement