মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যে মাদক খায় সে অসুস্থ্য আর যে মাদক ব্যবসা করে সে দেশের শত্রু এবং শয়তান। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, মাদক ব্যবসা যে করে সে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ভালো হয়ে যাও তা না হলে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে চলে যাও। নতুবা মাথার খুলি আর বন্দুকের গুলি বেশি দূরে নাই। নদীর পাড়ে লাশ পড়ে থাকবে। মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
Advertisement
শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লার আলীগঞ্জস্থ রেল লাইনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি যদি আপনাদের জন্য সঠিক প্রার্থী না হই তাহলে আমাক ভোট দিয়েন না। ঘরে ঘরে গিয়ে বলবেন যে শামীম ওসমান ভালো লোক না। তাকে ভোট দিয়েন না। আর যদি আমি সঠিক প্রার্থী হই তাহলে আপনাদের দায়িত্ব আমার জন্য আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে বলবেন শামীম ওসমানকে ভোট দিন। আর সমস্যা আপনার, আমার না। আমি ভোট চাইবো না। সারা বছর পর গায়েব থাইকা নির্বাচনের সময় আপনাদের কাছে আইসা আমি ভোট চাইবো এমন এমপি আমি হতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমি ভোট চাইতে আসি নাই। আমি আপনাদের জাগাতে এসেছি। আমি ভোট চাইবো কেন? ভোট আল্লাহর হুকুম। যে পাস করার করবে যে না করার করবে না। আমি ১৯৯৬ থেকে ২৬০০ কোটি টাকার কাজ করেছি। বাংলাদেশের ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি। তাই আপনারা চিন্তা করে ভোট দিয়েন।
Advertisement
শামীম ওসমান বলেন, যেই মাটিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেই মাটিতে ৩০ লাখ মানুষের রক্ত আছে। আমি যুব সমাজকে দোষ দেই না, কারণ এই যুব সমাজকে কেউ মুক্তিযুদ্ধার ইতিহাস শোনায় নাই। তারা জানে না বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে যুদ্ধাপরাধীরা সংসদে থাকে, রাজনীতি করে। এখনকার যুব সমাজ এই সোনার বাংলাকে ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে চায়। আমি বলবো চলে যাও, বিদেশে গিয়ে জুতা পালিশ করে খাও, ভিক্ষা করো। নইলে মাথা উঁচু করে দাঁড়াও। দেশকে ভালোবাসতে হলে আওয়ামী লীগ করতে হয় না।
জনসভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, ব্যবসায়ী হাজী মনির উদ্দিন, আলীগঞ্জ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নরুল ইসলাম, আলীগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমকেএইচ