ঢাকা-১৫ আসনে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রতিদিন সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলছে গণসংযোগ। এই প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীই এগিয়ে আছেন। ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত প্রার্থীকে মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
Advertisement
জানা গেছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএনপি জোটের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াত নেতা ডা. শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে সামসুল হক, জাকের পার্টির পক্ষ থেকে আবদুল মান্নান মিঞা প্রার্থী রয়েছেন।
মিরপুর-কাফরুল মিলে এই আসনে প্রায় চার লাখ ভোটার রয়েছে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার। প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী তার প্রচার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-প্রেশার মানুষকে তার নির্বাচনী প্রচারণায় নিযুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা ১৫ আসনের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, রাস্তা-ঘাট, অলি-গলিতে, দেয়ালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে।
Advertisement
এ ছাড়া জাকের পার্টির গোলাপ ফুল, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকেরও পোস্টার রাস্তা-ঘাট, পাড়া-মহল্লায় ঝুলছে। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়কে এই তিন দলের প্রার্থীর সর্মথকদের খণ্ড খণ্ড মিছিল করতেও দেখা গেছে। তবে ঢাকা ১৫ আসনের এলাকাজুড়ে কোথাও ধানের শীর্ষের প্রতীকে মনোনীত জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও জনসংযোগ দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়লাভ করবে বলে বিশ্বাস করি।
তিনি জানান, আমি গত তিন দফায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছি। এই এলাকার উন্নয়ন আমার হাতে হয়েছে। এলাকার মানুষ আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। জনগণ যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের কোনো প্রার্থীকে দেখতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভালোবাসে না।
২০ বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার কোনো আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জামায়াত নেতা। যুদ্ধপরাধারে দায়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পর দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হয়েছেন তিনি। ডা. শফিকুর রহমানের বাড়ি সিলেটে। অতীতে সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে একটি আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। সিলেট আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক বহুল আলোচিত।
Advertisement
১৫ আসনের প্রার্থী ডা. শফিকুর রহমানের অনুসারী আলমগীর জিহাদ জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকার মিরপুর-কাফরুলে জামায়াত তাদের দলীয় অবস্থান শক্ত করেছে অনেক আগে। এ কারণে নির্বাচনে এই আসনটি তারা বেছে নিয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি হাই-কমান্ডকে আগে থেকে এ আসনের বিষয়ে ধারণা দিয়ে রেখেছিল জামায়াত।
তিনি বলেন, ঢাকা ১৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতাকর্মীরা আমাদের পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। ধানের শীষে প্রচার-প্রচারণায় নামলে আমাদের লোকজনদের ধাওয়া দেয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এসব কারণে আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে পারছি না। তবে নানা প্রতিকূলতার পরও প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ ধানের শীষ প্রতীককে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন বলে আশা করি।
এমএইচএম/জেডএ/জেআইএম