বর্তমান বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলার তারা। সেরার বিতর্কে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। সামনাসামনি তারা যতই সৌহার্দ্য দেখান, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসির মধ্যে কিন্তু পেশাদারিত্বের ঈর্ষাটা ঠিকই কাজ করে। তাদের আচরণ, কথাবার্তায় অনেক সময় সেটা ফুটে উঠে।
Advertisement
পাঁচবার করে ব্যালন ডি'অর জিতেছেন দুজনই। পরিসংখ্যানও সেরার বিতর্কে কাউকে একদম পেছনে ফেলে রাখতে পারছে না। কারও কাছে রোনালদো সেরা, কারও কাছে মেসি।
এই দুই ফুটবল জাদুকরের মুখোমুখি লড়াই আগে নিয়মিতই দেখা যেত। রোনালদো ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে, মেসি তো সবসময়ই বার্সেলোনায়। লা লিগায় তাই তাদের 'ক্লাসিক' লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকতো পুরো ফুটবল বিশ্ব। রোনালদো ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে চলে যাওয়ায় সেই লড়াই থেকে বঞ্চিত ফুটবলপ্রেমীরা।
রোনালদো কি সেই দিনগুলো মিস করেন না? মিস করেন না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বির সঙ্গে সেই উপভোগ্য লড়াইটা? রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নয় বছরের সম্পর্কচ্ছেদ করে জুভেন্টাসে আসা পর্তুগিজ যুবরাজের রসমাখা উত্তর, ‘না, সম্ভবত সে-ই আমাকে মিস করে!’
Advertisement
একটু হয়তো রসিকতা ছিল। কিন্তু পরে যা বলেছেন, সেটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিকে খোঁচা দেয়ারই একটা আলামত পাওয়া গেল। একটা সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেও খেলেছেন রোনালদো। ক্লাব বদলটা তার জন্য নতুন কিছু নয়।
সেটি সামনে এনেই মেসিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তিনি বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডে খেলেছি, খেলেছি স্পেন, ইতালি, পর্তুগাল এবং আমার জাতীয় দলের হয়ে। অপরদিকে, সে এখনও স্পেনে। সম্ভবত তারই আমাকে বেশি দরকার। আমার জন্য জীবনটা চ্যালেঞ্জের। আমি এটা পছন্দ করি, পছন্দ করি মানুষকে আনন্দ দিতে।’
মেসিও যেন চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ইতালিতে চলে আসেন, সেই আহ্ববান রোনালদোর, ‘সে যদি একদিন ইতালিতে চলে আসে, তবে ভালো লাগবে। আশা করছি, আমার মতো সে-ও চ্যালেঞ্জটা নেবে। তবে সে যদি সেখানে সুখী থাকে। তবে তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। সে দারুণ একজন খেলোয়াড় এবং ভালো মানুষ। তবে আমি এখানে কিছু মিস করি না। এটা আমার নতুন জীবন, এখানে আমি সুখী।’
এমএমআর/আরআইপি
Advertisement