চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
একইসঙ্গে, কিডনি অপারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের পেশাগত লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসিসহ আটজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে আজ আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম. আসাদুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আনিসুল হাসান ও মো. শাহীনুজ্জামান।
Advertisement
চিকিৎসা করাতে গিয়ে কিডনি কেটে ফেলে রফিক শিকদারের মা রওশন আরার মৃত্যর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ এই রুল জারি করেন আদালত।
আইনজীবী আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে কিডনি অপসারণকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মায়ের একটি কিডনির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে সুস্থ কিডনিও ফেলে দেন ডাক্তার। বিএসএমএমইউয়ে কর্মরত অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের নাম হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক।
ভুল চিকিৎসায় মায়ের দুটি কিডনি হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরিচালক রফিক শিকদার। তার অভিযোগ, মায়ের একটি কিডনিতে অপারেশন করতে গিয়ে ভালো কিডনিও কেটে ফেলেন ওই চিকিৎসক।
Advertisement
তার দাবি, চিকিৎসক হাবিবুর রহমান লিখিতভাবে অপরাধ স্বীকার করে তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন যে, নিজ খরচে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবেন। কিন্তু তিনি কালক্ষেপণ করেছেন। অন্যদিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউয়ের লাইফ সাপোর্টে কোমায় ফেলে রাখেন মাকে। সেখানে গত ৩১ অক্টোবর রাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়।
এফএইচ/এমএ/জেডএ/এমএস