একসময়ে খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’ ডায়লগটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। মানুষ মুখে মুখে যেকোনো ইস্যুতে কৌতুকের ছলে এ ডায়লগটি আওড়াতো। এখনও মাঝে মধ্যে কেউ কেউ এই ডায়লগটি বলে থাকেন।
Advertisement
তবে মিঠুনের সেই ডায়লগটি এবার উচ্চারিত হলো ভারতের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতার মুখে। তবে হুবহু নয়, একটু ঘুরিয়ে।
সম্প্রতি অণ্ডালে (পশ্চিম বর্ধমানের একটি শহর) বিজেপির জনসভাকে কেন্দ্র করে শাসকবিরোধীদের আস্ফালনে সরগরম ছিল দুর্গাপুর। অনেক টালবাহানার পর অবশ্য অণ্ডালে জনসভার অনুমতি পায় বিজেপি। বৃহস্পতিবার অণ্ডালের উখড়া ও বারাবনিতে দুটি জনসভা করেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুর্গাপুরে জনসভায় হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। দুটি জনসভায়ই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শাসকদলকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাডড়িয়ে যান তিনি।
জনপ্রিয় বাংলা সিনেমার সংলাপ বদলে দিয়েছেন তিনি। দুর্গাপুরের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে যেখানে-সেখানে।’
Advertisement
তার মন্তব্যে নিন্দার ঝড় ওঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে বিভিন্ন সময়ে শাসকদলের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙা করতে এ রাজ্যে রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। এই ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে শাসকদলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে প্রকাশ্যে ‘কুকুর’ বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ।
এসআর/এমএস