সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার টুকরো টুকরো মরদেহ এসিড দিয়ে পোড়ানো হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের উপদেষ্টা ইয়াসিন আক্তের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
Advertisement
এরদোয়ানের উপদেষ্টা ইয়াসিন আক্তে বলেন, খাশোগিকে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ও মরদেহ নিশ্চিহ্ন করতে তার টুকরো টুকরো মরদেহ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে সৌদি কিলিং স্কোয়াড। যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ তার মরদেহের কোনো হদিস না পায়।
তিনি আরও বলেন, ‘খাশোগির মরদেহ কোনও চিহ্ন না রাখার জন্য তারা এ কাজ করেছে। এখন আমরা এটাও জানতে পারলাম তারা শুধু খাশোগির মরদেহ শুধু লুকিয়ে ফেলেনি, সেটাকে অদৃশ্য করে দিয়েছে।’
এছাড়া শুক্রবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ফোনালাপে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ‘ভয়ঙ্কর উগ্রবাদী’ এবং ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন
Advertisement
সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ও ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ঠিক এক মাস আগে অর্থাৎ ২ অক্টোবর হত্যা করা হয়। ওইদিন তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর ১৫ সদস্যের একটি কিলিং স্কোয়াড খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে।
গণমাধ্যম ও পশ্চিমা বিশ্বের চাপে এ ঘটনার ১৭ দিন পর সৌদি আরব স্বীকার করে খাশোগিকে তারাই হত্যা করেছে। তবে তার মরদেহের কোনো হদিস দেয় নি তারা। এবার জানা গেল খাশোগিকে হত্যার পর তার টুকরো করা মরদেহ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়।
এসএ/এমএস
Advertisement