নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বিচার হয়নি। অথচ আমাকে দেয়া হলো কারাদণ্ড। আমাদের দাবি মানেন, যদি না মানেন তবে কীভাবে ক্ষমতা থেকে নামাতে হয় তা আমরা জানি।
Advertisement
বুধবার বিকেলে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় মান্না বলেন, সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকারের জন্য আমরা লড়াইয়ে নেমেছি। একদিকে শেখ হাসিনা থাকবে, অন্যদিকে সারাদেশ।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেছেন, ৪০টি উপজেলা নিয়ে আধ্যাত্মিক বিভাগ সিলেট। আগামী দিনে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পূণ্যভূমি সিলেটের এই মাঠ থেকে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় মুরব্বি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা করব।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে সরকার। কারণ তারা জেনে গেছে মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকার হিসাব দিতে হবে। তারা বিরোধীদলকে দমন-পীড়ন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে জেলে বন্দী রেখে যেনতেন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেত চায়। সরকারের এই খায়েশ পূরণ হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করা হয়েছে।
Advertisement
জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, আমাদের বাকস্বাধীনতা নেই, তাই এখানে জমায়েত হয়েছি। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
বুধবার দুপুর ২টায় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী ও মহানগর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আজমল বকত সাদেকের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এনামুল হক, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবীর খান প্রমুখ।
ছামির মাহমুদ/এএম/পিআর
Advertisement