চট্টগ্রামের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে সরকার। এ জন্য ব্যয় হবে দুই হাজার ৭৫০ কোটি ৪০ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
Advertisement
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ পেয়েছে ম্যাক্স-রানকেন জয়েন্ট ভেঞ্চার। বুধবার (১০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে থাকায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম এ তথ্য জানান।
Advertisement
জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এয়ারপোর্টে যাতায়াতের জন্য তিন-চার ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এয়ারপোর্ট ছাড়াও পতেঙ্গায় নৌ, বিমান ঘাঁটিসহ সরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এসব বিবেচনায় যানজট আর জনদুর্ভোগ কমাতে তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে এ মেগাপ্রকল্প।
বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দর নগরীর প্রধান সড়কে এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছে সরকার।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নগরীর প্রধান সড়কের আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সঙ্গে যুক্ত হবে। ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে চট্টগ্রাম শহর এবং এর দক্ষিণ অংশের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সৃষ্টি হবে। এতে যানজট হ্রাস এবং বিমানবন্দরে যাতায়াতের পথ সুগম হবে।
এমইউএইচ/এএইচ/এমএস
Advertisement