দুর্গা পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ১৬ নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম খুরশীদ হোসেন। সোমবার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
Advertisement
দুপুরে ডিআইজি দফতরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভাগের আট জেলা পুলিশ সুপারও অংশ নেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই জানিয়ে ডিআইজি জানান, প্রতিমা তৈরি থেকে বিসর্জন পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। প্রত্যেক পূজামণ্ডপ ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। পোশাকে এমনকি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া থাকবেন আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। আয়োজকদের তরফ থেকে থাকবে স্বেচ্ছাসেবী দল। এছাড়া র্যাব সদস্যরাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তাও চান ডিআইজি।
ডিআইজি আরও জানান, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় এবার পূজামণ্ডপ তিন হাজার ৪৩৮টি। এর মধ্যে দুই হাজার ৯৩টি পূজামণ্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে এক হাজার ৪১টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং এক হাজার ৩৪৫টি সাধারণ। গুরুত্ব বিবেচনায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
Advertisement
এর বাইরে রাজশাহী নগরীতে থাকছে আরও ৯৮ মণ্ডপ। এছাড়া রাজশাহীতে ৩৬২, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩২, নওগাঁয় ৭৮৫, নাটোরে ৩৭১, পাবনায় ৩৪০, সিরাজগঞ্জে ৪৯৩, বগুড়ায় ৬৬৫ এবং জয়পুরহাটে ২৯০টি মণ্ডপ রয়েছে। গত বছরের চেয়ে বিভাগের আট জেলায় ২১১টি পূজামণ্ডপ বেড়েছে।
ডিআইজি দফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকায় রয়েছে রাজশাহীতে ১০৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৪, নওগাঁয় ২২০, নাটোরে ৯৪, পাবনায় ১৪২, সিরাজগঞ্জে ১৬৪, বগুড়ায় ১৬৯ এবং জয়পুরহাটে ৯৩টি।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে এবার ৯৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করা হবে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ২৬ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৬৫টি মণ্ডপ চিহ্নিত করা হয়েছে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/পিআর
Advertisement