বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এর ধারাবাহিকাতা নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকেও পাড়ি দিতে হবে। উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সব সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের এসডিজির লক্ষ্যগুলোতে পৌঁছানোর কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রয়োজন।
Advertisement
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘এসডিজি এবং অব্যাহত উন্নয়ন : জনগণের অংশগ্রহণের জন্য এনজিও, দাতা এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, এনজিও, দাতা, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা/ সংগঠনের অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করবে। সমাজের সব স্তরের সম্পদগুলো যথাযথ বন্টনের ক্ষেত্রে অসমতা দূর এবং পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারকে সবার সহযোগিতা করতে হবে।
তারা বলেন, দেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বলা হয়েছে যে, অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য পেশাদার সংগঠনের স্বার্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিয়েও কাজ করা আবশ্যক। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণের পাশাপাশি তাদের কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণও জরুরি।
Advertisement
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে যে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে। সরকার এনজিও, দাতা, বেসরকারি সংস্থা, প্রচার মাধ্যম ও সামাজিক সংগঠনগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সবার অংশগ্রহণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে।
তারা বলেন, এসডিজির লক্ষ্যে অর্জন নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক বৈষম্য এখনও একটি বড় বাধা হয়ে রয়েছে। সাম্প্রতিক এসডিজির বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে বাংলাদেশ সরকার স্বেচ্ছাসেবক জাতীয় পর্যলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে। এসডিজি সব পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী রাজনৈতিক অঙ্গীকারের সঙ্গে সঙ্গে সমন্বিত ও সমষ্টিগত প্রচেষ্টার দাবি রাখে।
পিকেএসএফের চেয়াম্যান কাজী খলীকুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শামসুল আলম প্রমুখ।
এএস/এমএমজেড/এমএস
Advertisement