প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ দলের স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ২২২। প্রতিপক্ষ যখন ভারত, তখন প্রথম ইনিংস শেষেই এ ম্যাচ অর্ধেক হেরে যাওয়ার কথা যেকোনো দলের। কিন্তু দলটা অদম্য বাংলাদেশ বলেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতকে চেপে ধরেছে, ম্যাচ টেনে নিয়েছে একদম শেষ ওভার পর্যন্ত।
Advertisement
কিন্তু শেষপর্যন্ত হারতে হয়েছে ম্যাচের একদম শেষ বলে গিয়ে। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৬টি রান। যা কিনা দেখেশুনে খেলে নিয়ে ফেলেন কেদার যাদভ ও কুলদ্বীপ যাদভ। অবস্থাদৃষ্টে বোঝাই গেছে আর ২০টা রান বেশি হলে ম্যাচের পাল্লা ঝুঁকে যেতো বাংলাদেশের পক্ষেই।
কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেটি হয়নি। ‘চমক’ জাগানো উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রান আসার পরেও বাংলাদেশ দল অলআউট হয় মাত্র ২২২ রানে। টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার আক্ষেপটাও এখানেই। আগের ম্যাচগুলোতে ২৪০ এর বেশি রান করেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ফাইনাল ম্যাচেও যদি প্রথম ইনিংসে ২৫০ বা এর আশেপাশে কিছু করতে পারতেন ব্যাটসম্যানরা, তাহলে নিশ্চিতভাবেই ম্যাচ বের করে ফেলতেন বোলাররা। পুরো আসর জুড়েই ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার চূড়ান্ত মাশুল ফাইনাল ম্যাচেও দিতে হলো বাংলাদেশ দলকে।
Advertisement
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘হ্যাঁ! আমরা আমাদের সর্বস্ব উজাড় করে খেলেছি। আমরা একদম শেষ বল পর্যন্ত চাপ প্রয়োগ করতে চেষ্টা করেছি। তবে আমরা ব্যাট এবং বল, উভয়দিকেই ভুল করেছি। আপনি আমাদের বোলিংয়ের দিকে তাকালে দেখবেন আগের ম্যাচগুলোতে আমরা ২৪০ এর বেশি রান করে জিততে পেরেছি। ফাইনাল ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের কাছে এটাই চাওয়া ছিল। তবে শেষপর্যন্ত বোলাররা অনেক ভালো করেছে।’
এসময় ভারতকে তাদের প্রাপ্য প্রশংসা দিতে ভোলেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাঝের ওভারগুলোয় ভারতীয়দের সাবলীল ব্যাটিংয়ের কারণেই তিনি শেষ ওভারে স্পিনার দিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানান।
মাশরাফি বলেন, ‘আমি বোলারদের সাথে বারবার কথা বলছিলাম। তারা (ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা) মাঝপথে বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলো। তাই আমি পেসারদের আগে করিয়ে রানের চাকা থামানোর চেষ্টা করছিলাম। আমি শেষ ওভারটা নাজমুল (অপু) বা মাহমুদউল্লাহর জন্য রাখতে চেয়েছিলাম। চিন্তা ছিলো যদি পেসাররা ৪৫ ওভার থেকে ভালোভাবে বোলিং করে তাহলে আমরা হয়ত শেষ ওভারে দশ রান পাবো ডিফেন্ড করার জন্য।’
এসএএস/এমএস
Advertisement